সন্ধ্যা হলেই ভাসমান দোকানে সিদ্ধ ডিমের কদর বেড়ে যায় গোলাপগঞ্জে
- আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সন্ধ্যা নামলেই বদলে যায় চৌমুহনীর চিত্র। দিনের বেলা যেখানে বাজার আর দোকানপাটের ব্যস্ততা থাকে, সেখানে রাতের আঁধার ঘনাতেই জমে ওঠে অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য। চারদিকে মানুষের ভিড়, গল্প-আড্ডা, কেনাকাটা—আর এর মাঝেই সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ভাসমান সিদ্ধ ডিমের দোকানগুলো।
গরম ধোঁয়া ওঠা ডিমের যেন পথচারীদের পা থামিয়ে দেয়। মুহূর্তেই দোকানের সামনে ভিড় জমে ওঠে। ক্রেতাদের কেউ তিনটা, কেউ আবার দশটা ডিম কিনে নিচ্ছেন। অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই খেয়ে নিচ্ছেন গরম গরম সিদ্ধ ডিম। ব্যস্ত বিক্রেতারা এক মুহূর্তের জন্যও বসে থাকার সুযোগ পান না। চারপাশে যেন ছোট্ট এক উৎসবের আবহ তৈরি হয়।
একজন বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন তিনি ৫০০-রও বেশি ডিম বিক্রি করেন। এখানে ডিম বিক্রি না হওয়ার সুযোগ নেই। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে,
স্থানীয়রা জানান, সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে সিদ্ধ ডিম এখন কেবল ক্ষুধা নিবারণের উপায় নয়, আড্ডা ও বিনোদনেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আড্ডায় ডিম যেন অন্যতম আকর্ষণ। অনেকেই বলেন, এক-দুটি ডিম না হলে আড্ডার মজা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে প্রতিদিনই দেখা যায়, কেউ হেঁটে আসছেন, কেউ মোটরসাইকেল থামিয়ে দিচ্ছেন, কেউবা আবার অফিস বা বাজার সেরে ফেরার পথে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ডিমের দোকানের সামনে। ক্রেতা-বিক্রেতার এমন আন্তরিক মেলবন্ধন এই চৌমুহনীকে সন্ধ্যার পর রঙিন ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সরাসরি বাজারের কোলাহল থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধবের আড্ডা, সবখানেই এখন সিদ্ধ ডিম এক অনন্য ভূমিকা রাখছে। সহজলভ্য, স্বাস্থ্যকর আর সুস্বাদু এই খাবারই গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর সন্ধ্যা জমিয়ে তুলছে প্রতিদিন।

















