ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

সবুজ অরণ্যে রঙিন উৎসব বৈসাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে সবুজ অরণ্যে রঙিন উৎসব বৈসাবি শুরু হয়েছে।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৈসাবি উৎসব নিয়ে সমৃদ্ধ সাহিত্যও সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলে প্রাণের উৎসবে মেতেছে নানা গোত্রের পাগাড়ি জনগোষ্ঠী।

পুরাতন বছরের দুঃখ গ্লানিকে মুছে ফেলে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনায় নত হন পাহাড়বাসী। এই জলে ভাসান দিয়েই পাহাড়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব।

বৈসাবি তিন জাতিগোষ্ঠীর উৎসবকে বোঝানো হলেও পাহাড়ে বসবাসরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে থাকেন।

ছবি সংগ্রহ

খাগড়াছড়ির চাকমা ও ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সকালে নদী, ছড়াসহ প্রাকৃতির জলে ফুল ভাসিয়ে গঙ্গাদেবীর কাছে মঙ্গল কামনা করেন। শহরের খবং পড়িয়া এলাকা সংলগ্ন চেঙ্গী নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে তরুণ তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জড়ো হন। সেখানে সংগৃহীত ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে প্রার্থনা করেন তারা।

বছরের গুরুত্বপূর্ন ও আনন্দদায়ক দিনটিতে ছোটরাও বাবা মার হাত ধরে নদীর ধারে প্রার্থনায় মিলিত হয়। জেলা সদরের পেরাছড়া এলাকা সংলগ্ন ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হারি বৈসুতে মিলিত হন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সেখানেও গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে কলাপাতায় ফুল দিয়ে প্রার্থনায় সমবেত হন তারা।

এরপর দলীয় ভাবে নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। আয়োজনগুলো থেকে পরিবার পরিজনের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে হানাহানি ভুলে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করার প্রার্থনা জানান তারা।

আগামীকাল (শনিবার, ১৩ এপ্রিল) বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে আপ্যায়ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সবুজ অরণ্যে রঙিন উৎসব বৈসাবি

আপডেট সময় : ০৩:১৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে সবুজ অরণ্যে রঙিন উৎসব বৈসাবি শুরু হয়েছে।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৈসাবি উৎসব নিয়ে সমৃদ্ধ সাহিত্যও সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলে প্রাণের উৎসবে মেতেছে নানা গোত্রের পাগাড়ি জনগোষ্ঠী।

পুরাতন বছরের দুঃখ গ্লানিকে মুছে ফেলে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনায় নত হন পাহাড়বাসী। এই জলে ভাসান দিয়েই পাহাড়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব।

বৈসাবি তিন জাতিগোষ্ঠীর উৎসবকে বোঝানো হলেও পাহাড়ে বসবাসরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে থাকেন।

ছবি সংগ্রহ

খাগড়াছড়ির চাকমা ও ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সকালে নদী, ছড়াসহ প্রাকৃতির জলে ফুল ভাসিয়ে গঙ্গাদেবীর কাছে মঙ্গল কামনা করেন। শহরের খবং পড়িয়া এলাকা সংলগ্ন চেঙ্গী নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে তরুণ তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জড়ো হন। সেখানে সংগৃহীত ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে প্রার্থনা করেন তারা।

বছরের গুরুত্বপূর্ন ও আনন্দদায়ক দিনটিতে ছোটরাও বাবা মার হাত ধরে নদীর ধারে প্রার্থনায় মিলিত হয়। জেলা সদরের পেরাছড়া এলাকা সংলগ্ন ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হারি বৈসুতে মিলিত হন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সেখানেও গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে কলাপাতায় ফুল দিয়ে প্রার্থনায় সমবেত হন তারা।

এরপর দলীয় ভাবে নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। আয়োজনগুলো থেকে পরিবার পরিজনের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে হানাহানি ভুলে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করার প্রার্থনা জানান তারা।

আগামীকাল (শনিবার, ১৩ এপ্রিল) বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে আপ্যায়ন করা হবে।