সহযোগীতা চেয়ে বাঁচার আকুতি যুবকের

- আপডেট সময় : ০২:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
দরিদ্র পরিবারের শাহাদাৎ হোসেন (৩২) কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবায় নিঃস্ব পরিবারটি। এখন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে দরকার ১০-১২ লাখ টাকা। এতো টাকা যোগাড় করার সামর্থ নেই। তাই নিজেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে দেশের দানশীল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে সহযোগীতা চাচ্ছেন এই যুবক।
তার বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের কিশামত দূর্গাপুর গ্রামে। এ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন।
স্বজনরা জানায়, শাহাদাৎ হোসেনের দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয়ে সবটুকু শেষ করে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খুব খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। শাহাদাৎ হোসেনের সপ্তাহে ২ দিন ডায়ালাইসিস করতে যেতে হয় রংপুরে। মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়। যা বহন করা দরিদ্র পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শাহাদাৎ হোসেনকে বাঁচাতে হলে জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। এ জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
বড় ভাই শাহ আলম জানান, আট ভাই বোনের মধ্যে শাহাদাৎ সবার ছোট। জমা-জমি বিক্রির টাকাসহ অন্যের কাছে ঋণ করে ভাইটির চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ভাই শাহাদাৎকে আল্লাহ যেনো বেচেঁ রাখেন এই কামনা তার।
অসহায় পিতা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার সন্তানের আর্তনাদ যেন তাকে প্রতিদিনই কুরে কুরে খাচ্ছে। যে সন্তানের হাত ধরে একদিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলাম আজ তাকেই হারানোর শঙ্কায়। আমার এই ছেলেকে সুস্থ করতে দেশের মানবিক ব্যক্তি ও দানলীশ প্রতিষ্ঠানের সাহায্য-সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. শাহাদাৎ হোসেনের হিসাব নং ৫১১৪৪০১০৩৩৪৫২, সোনালী ব্যাংক, সাদুল্লাপুর শাখা, গাইবান্ধা।