সহিংসতায় নিহত স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
বিচার করতে হবে, নইলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না
মানুষ মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মতো বর্বরতা, জানোয়ারের মতো ব্যবহার এগুলো কেউ করতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন জাতির কাছে রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখবে পা বেঁধে! যারা এসবের সঙ্গে জড়িত অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তাদের বিচার করতে হবে। না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সম্প্রতি নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো বুঝি আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। এমনকি লাশটাও দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি।
গণভবনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবার গণভবনে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অশ্রু সজল হতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
অশ্রু সজল প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি।
এক রাতে বাবা-মা, ভাইসহ নিজের স্বজন হারানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নাই। আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি।
এ সময় গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।