ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগে ঘুষ বাণিজ্য

সাংবাদিকদের হুমকি ও হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান গ্রাসের অভিযোগ

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার
  • আপডেট সময় : ১৩১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করা হয়। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিবেদনে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য লিখে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় তার ঘনিষ্ঠ সহকারী ও দক্ষিণ বনবিভাগের উচ্চমান সহকারী মো: গোলাম নবীকে।
বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, “টাকা দিলে সঠিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়, না দিলে বদলি বা শাস্তির মুখে পড়তে হয়।”
এর আগে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে, সাংবাদিক দেখে তিনি চেয়ার ছেড়ে দ্রুত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। যেন গোপন কিছু আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। সেই ভিডিও চিটাগং ট্রিবিউনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এমন আচরণের মধ্য দিয়ে কি দুর্নীতি আর দখলের অদৃশ্য সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তিনি?
কিছুদিন আগে অবৈধ কাঠামো উচ্ছেদ অভিযানে প্রকাশ্যে মুখোমুখি হয় সরকারি দুই দপ্তর। বনবিভাগ দাবি করে সব জমি তাদের মালিকানাধীন, অপরদিকে আরেক দপ্তরের দাবি কিছু জমি খাস খতিয়ানের আওতায় পড়ে, সেগুলোতে ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। এ নিয়ে দুই দপ্তরের প্রকাশ্য বিরোধ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
সাম্প্রতিক অভিযোগ তদন্তে সাংবাদিকরা মাঠে নামলে, দক্ষিণ বনবিভাগের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম হুশিয়ারি দিয়ে বলেন-“উল্টাপাল্টা নিউজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সাংবাদিকদের এমন প্রকাশ্য হুমকি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বনবিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ দখল, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকারি দপ্তরগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান আজ চরম হুমকির মুখে। তারা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের কক্সবাজারের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু বলেন, রক্ষক যখন ভক্ষকের ভুমিকায় তখন প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস হবেই, তাই স্থানীয়দেরও সোচ্চার হওয়া জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগে ঘুষ বাণিজ্য

সাংবাদিকদের হুমকি ও হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান গ্রাসের অভিযোগ

আপডেট সময় :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করা হয়। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিবেদনে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য লিখে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় তার ঘনিষ্ঠ সহকারী ও দক্ষিণ বনবিভাগের উচ্চমান সহকারী মো: গোলাম নবীকে।
বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, “টাকা দিলে সঠিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়, না দিলে বদলি বা শাস্তির মুখে পড়তে হয়।”
এর আগে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে, সাংবাদিক দেখে তিনি চেয়ার ছেড়ে দ্রুত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। যেন গোপন কিছু আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। সেই ভিডিও চিটাগং ট্রিবিউনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এমন আচরণের মধ্য দিয়ে কি দুর্নীতি আর দখলের অদৃশ্য সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তিনি?
কিছুদিন আগে অবৈধ কাঠামো উচ্ছেদ অভিযানে প্রকাশ্যে মুখোমুখি হয় সরকারি দুই দপ্তর। বনবিভাগ দাবি করে সব জমি তাদের মালিকানাধীন, অপরদিকে আরেক দপ্তরের দাবি কিছু জমি খাস খতিয়ানের আওতায় পড়ে, সেগুলোতে ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। এ নিয়ে দুই দপ্তরের প্রকাশ্য বিরোধ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
সাম্প্রতিক অভিযোগ তদন্তে সাংবাদিকরা মাঠে নামলে, দক্ষিণ বনবিভাগের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম হুশিয়ারি দিয়ে বলেন-“উল্টাপাল্টা নিউজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সাংবাদিকদের এমন প্রকাশ্য হুমকি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বনবিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ দখল, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকারি দপ্তরগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান আজ চরম হুমকির মুখে। তারা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের কক্সবাজারের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু বলেন, রক্ষক যখন ভক্ষকের ভুমিকায় তখন প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস হবেই, তাই স্থানীয়দেরও সোচ্চার হওয়া জরুরি।