ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাড়ে পাঁচ মাস পর হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে একটি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাসেদ ফেরদৌস বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর আমদানি সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। হিলি দিয়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সততা বাণিজ্যালয়, নাশাত ট্রেডার্স, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রেডার্স ও জগদীশ চন্দ্র রায়। প্রত্যেক আমদানিকারক ৩০ টন করে আমদানির অনুমতি পেয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে তবে সেটা খুবই কম। এভাবে আইপি দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, যা একটি ভারতীয় ট্রাকে আসবে। আগের সময়ে ২ হাজার, ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দিতো। কিন্তু সেটা এবার সরকার করছে না। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, দুপুর পর্যন্ত হিলি বন্দরের ৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবশেষে চলতি বছরের ২ মার্চ এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাড়ে পাঁচ মাস পর হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

আপডেট সময় :

সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে একটি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাসেদ ফেরদৌস বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর আমদানি সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। হিলি দিয়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সততা বাণিজ্যালয়, নাশাত ট্রেডার্স, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রেডার্স ও জগদীশ চন্দ্র রায়। প্রত্যেক আমদানিকারক ৩০ টন করে আমদানির অনুমতি পেয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে তবে সেটা খুবই কম। এভাবে আইপি দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, যা একটি ভারতীয় ট্রাকে আসবে। আগের সময়ে ২ হাজার, ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দিতো। কিন্তু সেটা এবার সরকার করছে না। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, দুপুর পর্যন্ত হিলি বন্দরের ৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবশেষে চলতি বছরের ২ মার্চ এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।