ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা চার দিনের রিমান্ডে

কোর্ট রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ১০২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মবকাণ্ডে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল সোমবার দুপুরে দলের এই অবস্থানের কথা জানান তিনি।
গত রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে নূরুল হুদাকে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওইদিন উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক নূরুল হুদাকে বের করে আনেন এবং জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ জানায়, বিএনপির করা একটি মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। ওই মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সাবেক সিইসি নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ রয়েছে। যা পরে ‘রাতের ভোট’ হিসেবে তকমা পায়।
এদিকে বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মবকাণ্ডে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল সোমবার দুপুরে দলের এই অবস্থানের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। তিনি আরও বলেন, সুতরাং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার গ্রেফতার প্রক্রিয়া এবং তার বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির যেকোনো নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন আমরা নেবো। এটা আমাদের (বিএনপি) অবস্থান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা চার দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মবকাণ্ডে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল সোমবার দুপুরে দলের এই অবস্থানের কথা জানান তিনি।
গত রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে নূরুল হুদাকে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওইদিন উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক নূরুল হুদাকে বের করে আনেন এবং জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ জানায়, বিএনপির করা একটি মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। ওই মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সাবেক সিইসি নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ রয়েছে। যা পরে ‘রাতের ভোট’ হিসেবে তকমা পায়।
এদিকে বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মবকাণ্ডে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল সোমবার দুপুরে দলের এই অবস্থানের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। তিনি আরও বলেন, সুতরাং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার গ্রেফতার প্রক্রিয়া এবং তার বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির যেকোনো নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন আমরা নেবো। এটা আমাদের (বিএনপি) অবস্থান।