সার ডিলার নীতিমালা বহালের দাবিতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ১৫ বার পড়া হয়েছে
filter: 109; fileterIntensity: 0.8; filterMask: 0; hdrForward: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: off;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 36;
যশোরে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা–২০২৫ বাতিল করে ২০০৯ সালের নীতিমালা বহালের দাবি জানিয়েছে ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সার ব্যবসায়ীরা। বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএ যশোর জেলার সভাপতি আলহাজ শাহজালাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ জেলা ইউনিটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে ডিলারশিপ প্রথা চালুর পর থেকে সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে সার বিতরণ কার্যক্রম অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে বিসিআইসি–এর ৫,৬০০ এবং বিএডিসি–এর ৫,২০০ ডিলারসহ মোট প্রায় ১০,৮০০ ডিলার ও ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা কৃষক পর্যায়ে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার সরবরাহ করে আসছেন। এতে কোনোভাবেই সিন্ডিকেট বা বাজার কারসাজির সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৯ সালের নীতিমালার আওতায় গড়ে ওঠা এ সার বিতরণ ব্যবস্থা বিগত ৩০ বছরে একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক চেইনে পরিণত হয়েছে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে বহু পুরোনো ও অভিজ্ঞ ডিলার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, অনেকেই দেউলিয়া হয়ে পড়বেন এবং সার বিতরণ ব্যবস্থায় অস্থিরতা তৈরি হবে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২৫ সালের নীতিমালায় ইউনিয়নভিত্তিক তিনজন নতুন ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। এতে একদিকে প্রতিটি ইউনিয়নের সারের বরাদ্দ তিনভাগে বিভক্ত হবে, অন্যদিকে নতুন করে গুদাম ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপনে বিপুল ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে এবং মাঠপর্যায়ে সার সরবরাহে জটিলতা দেখা দেবে।
বিএফএ নেতারা আরও বলেন, বর্তমান ডিলাররা দীর্ঘদিন ধরে বিপুল অঙ্কের নিরাপত্তা জামানত জমা দিয়ে, প্রতি মাসে গড়ে ৩০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তারা কৃষক ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে একটি পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, যা একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিলারদের পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধির দাবিও তোলা হয়। বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে জ্বালানি, গুদাম ভাড়া ও ব্যাংকসুদসহ বিভিন্ন খরচ বেড়েছে, কিন্তু কমিশন বাড়ানো হয়নি। ফলে ডিলারদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
এ ছাড়া কৃষক পর্যায়ে ভর্তুকিযুক্ত সারের ওপর কোনো প্রকার আগাম কর আরোপ না করার আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়—
২০০৯ সালের নীতিমালা বহাল রাখা,
বিসিআইসি ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি,
জেলার প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ নিশ্চিত করা,
বেসরকারি পর্যায়ে ৮০% এবং বিএডিসির মাধ্যমে ২০% নন–ইউরিয়া সার আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে তড়িঘড়ি করে নীতিমালা পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার পুনরায় তা পরিবর্তন করতে পারে। তাই সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
বিএফএ নেতারা আরও সতর্ক করে বলেন, “ভুল সিদ্ধান্তে মাঠপর্যায়ে সার সরবরাহ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান বকুল, খুলনার সভাপতি গাজী আবুল কালাম, ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, নড়াইল জেলার সভাপতি মোঃ হাসান, বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক বেগ মাহফুজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি খন্দকার আব্দুল গাফফার, মাগুরা জেলার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম,ইসলাম সার আমদানি কারক কামরুজ্জামান, স্যার ব্যবসায়ী রেজাউল করিমসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলার সার ব্যবসায়ী ও সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।


















