ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি

সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ

রবিউল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বাড়ি নির্মাণে চাঁদা আদায়, মাদক বিক্রি, জমি দখল, তিতাসের গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করার পাশাপশি অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে। কদমতলী কবরস্থানের দক্ষিন পার্শে মাসুদের দোকান জোরপূর্বক দখলে নিয়ে আস্তানা গেরেছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। আস্তানা সার্বক্ষনিক নজরে রাখতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ভয়ে আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ১০/১২টি করে মামলা থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার রমজানের ছেলে সোহাগ (৩২) ও সুমিলপাড়া এলাকার ইউসুফের ছেলে মুন্না (৩৬) দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপর্কম করে আসছে। তাদের ১০/১৫ জনের এই বাহিনী এলাকার আতংক। বিগত দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির শেল্টারে কদমতলী ও আদমজী ইপিজেড এলাকায় এরা টেন্ডারবাজি, অস্ত্রের মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছিল। মতি তাদের দিয়েই আদমজী ইপিজেড এ অবস্থিত কমপক্ষে ১৭টি গার্মেন্টস কারখানা নিয়ন্ত্রণ করত। তখন তারা এলকায় মতি বাহিনী নামে পরিচিত ছিল। গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও চলতি বছরের শুরু থেকে এই বাহিনীর সকলেই প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে সোহাগ বাহিনী ছাত্রদল নেতা সাগরের শেল্টারে অপকর্ম করতে থাকে। আদমজী ইপিজেডের ১২টি কারখানা উক্ত বাহিনী দিয়ে দখলে নিয়ে সাগর নিয়ন্ত্রণ করছে। এরা এখন সোহাগ বাহিনী নামে পরিচিত। আদমজী ইপিজেডে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গত ৬ মার্চ দুই গ্রæপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সোহাগের নেতৃত্ব একদল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে। সেখানে সোহাগ প্রকাশ্যে গুলি করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ঘটনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। ফলে এ বাহিনী দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এরপর থেকে কদমতলী এলাকায় বাড়ি নির্মাণে চাঁদা আদায়, মাদক বিক্রি, জমি দখল, তিতাসের গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করছে। এর পাশাপশি অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে। এলাকার মোশাররফ, জামাল, আজমলসহ একাধিক ব্যাক্তি জানায়, সোহাগ বাহিনীর চাঁদাবাজিসহ নানা অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তাদের ভয়ে আমরা এলাকায় আতংকে রয়েছি। এখনই তাদেরকে আইনের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে বলে তাদের দাবি। এলাকাবাসী আরও জানায়, সোহাগ ছাত্রদল নেতা সাগরের আত্মীয় হওয়ায় বেপরোয়া আচরণ করছে। এক সময়ের আদমজীর ত্রাস আবুল কাশেম ওরফে গলাকাটা কাশেমের ছেলে সাগরও তার বাবার দেখানো পথেই হাটছে। যুবলীগ নেতা মতির সকল অপকর্ম এখন সোহাগ বাহিনী দিয়ে সাগর করাচ্ছে। আমরা অস্ত্রধারী সকল সন্ত্রাীদের গ্রেফতার দাবি করছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, পুলিশ সন্ত্রাীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। দ্রæতই এর সুফল দেখতে পাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি

সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ

আপডেট সময় :

সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বাড়ি নির্মাণে চাঁদা আদায়, মাদক বিক্রি, জমি দখল, তিতাসের গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করার পাশাপশি অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে। কদমতলী কবরস্থানের দক্ষিন পার্শে মাসুদের দোকান জোরপূর্বক দখলে নিয়ে আস্তানা গেরেছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। আস্তানা সার্বক্ষনিক নজরে রাখতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ভয়ে আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ১০/১২টি করে মামলা থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার রমজানের ছেলে সোহাগ (৩২) ও সুমিলপাড়া এলাকার ইউসুফের ছেলে মুন্না (৩৬) দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপর্কম করে আসছে। তাদের ১০/১৫ জনের এই বাহিনী এলাকার আতংক। বিগত দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির শেল্টারে কদমতলী ও আদমজী ইপিজেড এলাকায় এরা টেন্ডারবাজি, অস্ত্রের মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছিল। মতি তাদের দিয়েই আদমজী ইপিজেড এ অবস্থিত কমপক্ষে ১৭টি গার্মেন্টস কারখানা নিয়ন্ত্রণ করত। তখন তারা এলকায় মতি বাহিনী নামে পরিচিত ছিল। গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও চলতি বছরের শুরু থেকে এই বাহিনীর সকলেই প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে সোহাগ বাহিনী ছাত্রদল নেতা সাগরের শেল্টারে অপকর্ম করতে থাকে। আদমজী ইপিজেডের ১২টি কারখানা উক্ত বাহিনী দিয়ে দখলে নিয়ে সাগর নিয়ন্ত্রণ করছে। এরা এখন সোহাগ বাহিনী নামে পরিচিত। আদমজী ইপিজেডে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গত ৬ মার্চ দুই গ্রæপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সোহাগের নেতৃত্ব একদল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে। সেখানে সোহাগ প্রকাশ্যে গুলি করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ঘটনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। ফলে এ বাহিনী দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এরপর থেকে কদমতলী এলাকায় বাড়ি নির্মাণে চাঁদা আদায়, মাদক বিক্রি, জমি দখল, তিতাসের গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করছে। এর পাশাপশি অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সোহাগ ও মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে। এলাকার মোশাররফ, জামাল, আজমলসহ একাধিক ব্যাক্তি জানায়, সোহাগ বাহিনীর চাঁদাবাজিসহ নানা অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তাদের ভয়ে আমরা এলাকায় আতংকে রয়েছি। এখনই তাদেরকে আইনের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে বলে তাদের দাবি। এলাকাবাসী আরও জানায়, সোহাগ ছাত্রদল নেতা সাগরের আত্মীয় হওয়ায় বেপরোয়া আচরণ করছে। এক সময়ের আদমজীর ত্রাস আবুল কাশেম ওরফে গলাকাটা কাশেমের ছেলে সাগরও তার বাবার দেখানো পথেই হাটছে। যুবলীগ নেতা মতির সকল অপকর্ম এখন সোহাগ বাহিনী দিয়ে সাগর করাচ্ছে। আমরা অস্ত্রধারী সকল সন্ত্রাীদের গ্রেফতার দাবি করছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, পুলিশ সন্ত্রাীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। দ্রæতই এর সুফল দেখতে পাবেন।