ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেটে দুই গ্যাস কূপ খননে কাজ পেলো চীনা প্রতিষ্ঠান

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খননের কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকা।

চীনের প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ খননের কাজ দিতে সম্মতি দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ অনুসরণে সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন করা হবে।

এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এ নিয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশনর মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

তিনি জানান, প্রস্তাবক মন্ত্রণালয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন।

সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৪ সালের ২২তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।

পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দুটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এই এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৫৫৮০ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট খরচ হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিলেটে দুই গ্যাস কূপ খননে কাজ পেলো চীনা প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ০৬:২৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খননের কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকা।

চীনের প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ খননের কাজ দিতে সম্মতি দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ অনুসরণে সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন করা হবে।

এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এ নিয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশনর মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

তিনি জানান, প্রস্তাবক মন্ত্রণালয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন।

সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৪ সালের ২২তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।

পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দুটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এই এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৫৫৮০ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট খরচ হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।