সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে লন্ডন প্রবাসী তয়ফুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ
সিলেট প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
লন্ডনে দীর্ঘ কর্মজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে বার্ধক্যের শেষপ্রান্তে এসে নিদারুণ হয়রানি ও প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি মোহাম্মদ তয়ফুল হক। গত ৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর দায়ের করা একটি দরখাস্তে তিনি এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
তয়ফুল হক সিলেটের শাহপরান থানাধীন চুয়াবহর বটেশ্বর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁর বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করে রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানে অবসরকালীন জীবনযাপন করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ফেরার পর ট্রাস্ট ব্যাংক, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট শাখায় তার লন্ডনে উপার্জিত ১০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১১ লক্ষ টাকা) জমা করেন। কিন্তু দেশে ফেরার পর থেকেই তার সাবেক স্ত্রী রওশন আরা বেগম পরিকল্পিতভাবে হয়রানি ও সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা শুরু করেন।
আবেদনকারীর ভাষ্যমতে, তার চুয়াবহর বটেশ্বর এলাকার বাসভিটা জাল কাগজপত্র তৈরি করে রওশন আরা বেগম নিজের নামে রেকর্ড করার চেষ্টা চালান। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে ল্যান্ড ট্রাইব্যুনালে স্বত্ব মোকাদ্দমা (মামলা নং-৫০/২০২৪) দায়ের করেন এবং ট্রাইব্যুনাল ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে একতরফা রায়ে তয়ফুল হককে জমির বৈধ মালিক ঘোষণা করেন।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি বলে দাবি করেন তয়ফুল হক। তিনি জানান, মামলার রায়ের পর রওশন আরা বেগম, তার ভাই ও আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার বাড়িতে এসে তাকে ও তার বর্তমান স্ত্রী পারভীন আক্তার ছকিনাকে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে সিলেটের মাননীয় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহপরান থানায় সিআর মামলা (নং-৫৪/২০২৪) দায়ের করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে চলমান তিনটি মামলার কোনো বাদীর সাথে তার পরিচয় নেই এবং তিনি তাদের চিনেনও না। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১. কতোয়ালী থানায় সি.আর মামলা নং-২৫/২০২৪ (তারিখ: ২৮/০৮/২০২৪), ২. কতোয়ালী থানায় এফআইআর নং-৬ ও জি.আর নং-৪০৫ (তারিখ: ০৩/০৯/২০২৪), ৩. কতোয়ালী থানায় এফআইআর নং-১৭ ও জি.আর নং-৪৫৬ (তারিখ: ১৭/১০/২০২৪)।
তাঁর ভাষায়, “আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই বরং দেশে অবস্থানকালে ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। আমি বর্তমানে এলাকার সোনারগাঁ জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি এবং দুটি মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এইসব সামাজিক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং আমার সম্পদ দখল করতে না পেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করানো হচ্ছে।”
তিনি কমিশনার বরাবর আবেদন করে তার বার্ধক্যকালীন জীবনকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে এবং হয়রানিমূলক মামলাগুলোর সঠিক তদন্ত করে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।



















