সেন্টমার্টিনে ছাড়পত্র লাগবে
- আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশের বিপর্যয় রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে পর্যটকদের ভ্রমনে সেন্টমার্টিন যেতে হলে রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনে পা রাখতে পারবেন না।
এসব কথা জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান।
ইউনিডোর-এর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ড. আব্দুল হামিদ বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় সাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে।
দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে একাধিকবার ঘোষণা দেওয়া হয় রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে না। তবে, নানা কারণে এ ঘোষণা কার্যকর হয়নি। এবার একই ঘোষণা এলো অন্তর্র্বতী সরকারের সময়েও।
সেমিনারে ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান ড. জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী,বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের দিকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিচালক (এনভি. ক্লিয়ারেন্স) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরার কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ইউএনডিপি’র হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন,বাপার কক্সবাজার সভাপতি এইচ এম এরশাদ, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু,ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সেমিনারে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষক, পরিবেশবিদ, ছাত্র প্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, টুরিস্ট পুলিশ সহ নানা শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।