সোনাতলা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো স্রোতে ভেসে গেছে
- আপডেট সময় : ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার সোনাতলায় বাঙালি নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোর অধিকাংশ স্রোতের তোড়ে ভেঙে ভেসে গেছে। এখনও সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
সোনাতলার খেয়াঘাট-সংলগ্ন স্থানে সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল বহু আগেই। সেটি অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানে নদী পারাপারে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি বানের পানিতে এর অধিকাংশ ভেঙে যায়। এর পর আর মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নদীর দুই পাড়ের প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে সেতু নির্মাণে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি কোনোবারই। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণে হলিদাবগা এলাকায় বাঙালি নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মাণ না করায় সেখানে মানুষ নৌকার ওপর নির্ভরশীল ছিল। হাট-বাজার ও স্কুলে যাতায়াত করতে নৌকা দিয়েই নদী পার হতেন। গত জুলাই মাসে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো তৈরি করে নদী পারপারের কাজ সারতে থাকেন। প্রায় ৩০০ ফুট সাঁকো নির্মাণের ফলে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কিছুটা অবসান ঘটে। সাঁকো তৈরি করায় ওই এলাকাসহ আশপাশের এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের নদী পারাপারের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছিল।
সম্প্রতি কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীতে পানি বেড়ে যায়। ফলে পানির স্রোতে বাঁশের সাঁকোটির একাংশ ভেঙে ভেসে যাওয়ায় দুই পাড়ের মানুষের নদী পারাপারের দুর্ভোগ আবারও ফিরে আসে।
স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণের আয়োজক দিগদাইড় গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাঙালি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কথা শুনে নদীর দুই পাড়ের লোকজন উৎসুক হয়ে টাকাপয়সা ও শত শত বাঁশ দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। পরে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সাঁকোটি পানির তোড়ে ভেঙে ভেসে যায়।
স্থানীয় হলিদাবগা গ্রামের স্কুল শিক্ষক নুর আলম বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য নদীর দুই পাড়ের ১৬টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। সংসদ নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও এমপি হয়ে ভুলে যান প্রতিশ্রুতির কথা। এমপি হয়ে নেননি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। যার কারণে এলাকাবাসী অগত্য স্বেচ্ছাশ্রমে একটি সাঁকো তৈরি করে পারপার হতেন কিন্তু সেটিও নদীতে ভেসে যাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, উপজেলার হলিদাবগা খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে গত ৫ মাস আগে প্রস্তাবনাসহ আবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে সেখানে সেতু নির্মাণ করা হবে।





















