স্মার্ট সেবা নিশ্চিতে বিআরটিসি বাসে চালু হলো র্যাপিড পাস
- আপডেট সময় : ০৯:১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
সড়ক পরিবহনে এই প্রথমবারের মতো র্যাপিড পাস চালুর মধ্যদিয়ে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নজির গড়লো বিআরটিসি। পরিবহন জগতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির দেখানো পথেই হাটবে অন্যান্য পরিবহন সংস্থা।
বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে র্যাপিড পাস চালু করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সেবামূলক এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি যাত্রীসেবার মান শতভাগ নিশ্চিতে র্যাপিড পাস চালু করলো।
র্যাপিড পাস চালুর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মানিত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম ও ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন (অতিরিক্ত সচিব) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে চেয়ারম্যান বিআরটিসি তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় বিআরটিসি’তে র্যাপিড পাস চালু করা হলো।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার বলেন, বিআরটিসিতে র্যাপিড পাস চালুর মধ্যদিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশি হয়ে থাকলো রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটি। এর মাধ্যমে সহজেই মানুষ চলাচল করতে পারবেন।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন বলেন, র্যাপিড পাসের মাধ্যমে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মানিত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, র্যাপিড পাস কার্ড দিয়ে মেট্রোরেল ও বিআরটিসি বাসের পাশাপাশি বেসরকারী পরিবহনে চালুর লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এদেশের সাধারণ মানুষের যাতায়ত নিশ্চিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বিআরটিসি। আজ বাংলাদেশের পরিবহণখাতে সবচেয়ে বিশাল পরিসরে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সদা জাগ্রত এই প্রতিষ্ঠানটি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আরও এক ধাপ এগুলো বিআরটিসি। র্যাপিড পাস ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই চলাচল করতে পারবেন। র্যাপিড পাস হচ্ছে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা। এর ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ থাকবে না। ফলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে কোন রকমের জটিলতা সৃষ্টি আশঙ্কা থাকলো না।