ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

হাজারো মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৯০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লোহাগাড়া উপজেলার আমরিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে টংকাবতী খাল। সেই খালের উপর কাঠ ও বাঁশের তৈরির একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মহুরি পাড়া, ঘোনাপাড়া, চৌধুরীপাড়া, রাহাত আলী পাড়া, সৈয়দ পাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।
প্রায় ১৫ বছর আগে সাঁকোটি নিজেদের চাঁদায় তৈরি করেছিল এলাকাবাসী। বৃষ্টির সময় খালের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে, তাই শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছর গ্রামবাসীকে নিজেদের টাকায় মেরামত করতে হয়। বৃষ্টির সময় ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার বয়স্ক লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। উত্তর আমরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমরিয়াবাদ এম.বি. উচ্চ বিদ্যালয়, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি অতিক্রম করে। সারা বছর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সাঁকোটি কাঠ, বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটির কোথাও কোথাও গর্ত হয়ে গেছে। সেই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চলাচল করছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি জানিয়েছে যে, খালের উপর একটি স্থায়ী সেতু তৈরি করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট না হয় এবং তারা যাতে সহজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে ১৫ বছর ধরে, কোনো কাজ করেনি। এখন নতুন সরকার এসেছে, তাই তাদের আশা অনেক বেড়ে গেছে, তারা আশা করছে এই নতুন সরকার তাদের একটি সেতু বানিয়ে দেবে।
এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, বৃষ্টির দিনগুলোতে আমাদের সাঁকো দিয়ে পারাপারে অনেক কষ্ট হয়, তাছাড়া সকল মেম্বার, চেয়ারম্যান আমাদের শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন, সেতু বানিয়ে দেননি।
এইচ.এস.সি পড়ুয়া এক ছাত্র জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে এই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাই, কিন্তু কেউ আমাদের কষ্ট কমানোর জন্য একটি সেতু বানিয়ে দেয়নি। সরকারের কাছে আমরা স্থায়ী একটা সেতু তৈরির জোর দাবি জানাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হেনা মোস্তফা জানান, আমি চাইলেও এত বড় কাজ সম্ভব নয়, কারণ একজন ইউপি সদস্যের এত টাকা বরাদ্দ হয় না। তবে সরকার সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইরফান বানী মুনিরি জানান, ‘প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সেতু তৈরি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাজারো মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় :

লোহাগাড়া উপজেলার আমরিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে টংকাবতী খাল। সেই খালের উপর কাঠ ও বাঁশের তৈরির একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মহুরি পাড়া, ঘোনাপাড়া, চৌধুরীপাড়া, রাহাত আলী পাড়া, সৈয়দ পাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।
প্রায় ১৫ বছর আগে সাঁকোটি নিজেদের চাঁদায় তৈরি করেছিল এলাকাবাসী। বৃষ্টির সময় খালের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে, তাই শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছর গ্রামবাসীকে নিজেদের টাকায় মেরামত করতে হয়। বৃষ্টির সময় ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার বয়স্ক লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। উত্তর আমরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমরিয়াবাদ এম.বি. উচ্চ বিদ্যালয়, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি অতিক্রম করে। সারা বছর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সাঁকোটি কাঠ, বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটির কোথাও কোথাও গর্ত হয়ে গেছে। সেই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চলাচল করছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি জানিয়েছে যে, খালের উপর একটি স্থায়ী সেতু তৈরি করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট না হয় এবং তারা যাতে সহজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে ১৫ বছর ধরে, কোনো কাজ করেনি। এখন নতুন সরকার এসেছে, তাই তাদের আশা অনেক বেড়ে গেছে, তারা আশা করছে এই নতুন সরকার তাদের একটি সেতু বানিয়ে দেবে।
এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, বৃষ্টির দিনগুলোতে আমাদের সাঁকো দিয়ে পারাপারে অনেক কষ্ট হয়, তাছাড়া সকল মেম্বার, চেয়ারম্যান আমাদের শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন, সেতু বানিয়ে দেননি।
এইচ.এস.সি পড়ুয়া এক ছাত্র জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে এই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাই, কিন্তু কেউ আমাদের কষ্ট কমানোর জন্য একটি সেতু বানিয়ে দেয়নি। সরকারের কাছে আমরা স্থায়ী একটা সেতু তৈরির জোর দাবি জানাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হেনা মোস্তফা জানান, আমি চাইলেও এত বড় কাজ সম্ভব নয়, কারণ একজন ইউপি সদস্যের এত টাকা বরাদ্দ হয় না। তবে সরকার সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইরফান বানী মুনিরি জানান, ‘প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সেতু তৈরি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’