হাসিনার স্বৈরতন্ত্র দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে: কূটনীতিকদের ইউনূস
- আপডেট সময় : ০২:০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ২১৫ বার পড়া হয়েছে
তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়াই বেড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মদদে ব্যাংকগুলো ডাকাতি করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে লুট করা হয়েছে।
ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে কাজ করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সমর্থনে চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে ব্রিফি করেন ড. ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, আমি এমন এক সময়ে একটা দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, যা অনেক দিক থেকে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল। ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্র দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিচার বিভাগ ধসে গেছে। দেড় দশক ধরে ভয়াবহ দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করা হয়েছে। নির্লজ্জভাবে নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়াই বেড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মদদে বাংকগুলো ডাকাতি করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে লুট করা হয়েছে।
ড. ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও মিডিয়াতে সংস্কারের পর অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত সোমবার (১২ আগস্ট) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। দ্রুত এটি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিও সরকারের গুরুত্ব থাকবে। একইসঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্পে কোনও অস্থিরতা সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন দেশের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগের ভঙ্গুর অবস্থা। গণতান্ত্রিক অধিকারকে ১৫ বছর ধরে দমনের মাধ্যমে খর্ব করা হয়েছে।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের পুরোপুরি সমর্থন চেয়েছেন।
ড. ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য স্বচ্ছ নির্বাচন করা। তবে এর আগে সবক্ষেত্রে সংস্কার করতে চায় সরকার।