ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

৭ ফুট বেশি জোয়ারে মেঘনার বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

বাড়িঘরে জোয়ারের পানি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ফুট বেশি জোয়ারে মেঘনা নদীর উপকূলের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হু হু জোয়ারের পানি বাড়িঘর ভাসিয়ে দিয়েছে। নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ও জোয়ারের পানি প্লাবিত।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে। রাত ৮টার দিকে ভাটায় নামতে শুরু করে জোয়ারের পানি। কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, বলিরপোল, মতিরহাট, কালকিনি ও কালভার্ট এলাকায় খোঁজ নিয়ে জোয়ারের বিষয়টি জানা গেছে।

একইভাবে সোমবার (২২ জুলাই) ও মঙ্গলবারও (২৩ জুলাই) উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী সংলগ্ন রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। লোকালয়েও জোয়ারের পানিতে স্রোত দেখা যায়৷ রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচা-পাকা নিচু ঘরগুলো তলিয়ে যায়।

এদিকে টানা তিনদিন জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ জোয়ারে ক্ষেতের বীজতলা নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গৃহস্থরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতিতে মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। তিন বছর শেষ হতে চললেও বাঁধের দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকা প্রতিবছরই জোয়ারে ভাসে।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমাল এই উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে। যার ক্ষতচিহ্ন এখনো উপকূলে দৃশ্যমান। এরমধ্যে পূর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত হয়ে ক্ষেতের বীজতলা নষ্ট ও পুকুরে চাষের মাছ ভেসে গেছে।

কমলনগরের চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আব্দুজ জাহের, আবু তাহের জানান, জোয়ারের পানিতে তাদের পুরো বাড়ি ডুবে ছিল। নিচু ভিটির ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। সবাইকে চৌকি-খাটে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে ছিল।

ক্ষেতে অনেকেই আমনের বীজতলা তৈরি করছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। দিনে ও রাতে প্রতিদিন দুই বার জোয়ার ওঠে। রাতের জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।

কমলনগরের চরলরেন্স এলাকার স্কুলশিক্ষক সানা উল্লাহ সানু সংবাদমাধ্যমকে জানান, নদীর স্বাভাবিক জোয়ার উপকূলে প্রবেশ করে না। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ফুট বেশি জোয়ার ছিল। এতে নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পূর্বে লোকালয় পর্যন্ত তীব্র স্রোত নিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৭ ফুট বেশি জোয়ারে মেঘনার বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত

আপডেট সময় : ১১:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

 

স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ফুট বেশি জোয়ারে মেঘনা নদীর উপকূলের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হু হু জোয়ারের পানি বাড়িঘর ভাসিয়ে দিয়েছে। নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ও জোয়ারের পানি প্লাবিত।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে। রাত ৮টার দিকে ভাটায় নামতে শুরু করে জোয়ারের পানি। কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, বলিরপোল, মতিরহাট, কালকিনি ও কালভার্ট এলাকায় খোঁজ নিয়ে জোয়ারের বিষয়টি জানা গেছে।

একইভাবে সোমবার (২২ জুলাই) ও মঙ্গলবারও (২৩ জুলাই) উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী সংলগ্ন রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। লোকালয়েও জোয়ারের পানিতে স্রোত দেখা যায়৷ রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচা-পাকা নিচু ঘরগুলো তলিয়ে যায়।

এদিকে টানা তিনদিন জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ জোয়ারে ক্ষেতের বীজতলা নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গৃহস্থরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতিতে মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। তিন বছর শেষ হতে চললেও বাঁধের দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকা প্রতিবছরই জোয়ারে ভাসে।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমাল এই উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে। যার ক্ষতচিহ্ন এখনো উপকূলে দৃশ্যমান। এরমধ্যে পূর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত হয়ে ক্ষেতের বীজতলা নষ্ট ও পুকুরে চাষের মাছ ভেসে গেছে।

কমলনগরের চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আব্দুজ জাহের, আবু তাহের জানান, জোয়ারের পানিতে তাদের পুরো বাড়ি ডুবে ছিল। নিচু ভিটির ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। সবাইকে চৌকি-খাটে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে ছিল।

ক্ষেতে অনেকেই আমনের বীজতলা তৈরি করছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। দিনে ও রাতে প্রতিদিন দুই বার জোয়ার ওঠে। রাতের জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।

কমলনগরের চরলরেন্স এলাকার স্কুলশিক্ষক সানা উল্লাহ সানু সংবাদমাধ্যমকে জানান, নদীর স্বাভাবিক জোয়ার উপকূলে প্রবেশ করে না। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ফুট বেশি জোয়ার ছিল। এতে নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পূর্বে লোকালয় পর্যন্ত তীব্র স্রোত নিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে।