ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo মানিকগঞ্জে এলজিইডির ৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে ভেকু দিয়ে Logo খাগড়াছড়িতে বৈসাবী রেলি অনুষ্ঠিত Logo ভারতে পাঁচ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী Logo কিশোরগঞ্জে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায়   বাড়িঘর ভাংচুর ও মারপিট  করেছেন Logo বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪ টি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠালো ভারত Logo সুন্দরবনে জলদস্যু বাহিনীর কবল থেকে ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড 

অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ হ্যালোথেন নয়, আইসোফ্লুরেন ব্যবহারের নির্দেশ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হ্যালোথেন ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, হাত কাঁপানো বা কাঁপুনি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, অ্যাপনিয়া বা শ্বাসের অনুপস্থিতি, হাইপারভেন্টিলেটিং বা দ্রুত/গভীর শ্বাস, রক্তচাপ কমে যাওয়া অ্যারিথিমিয়া।

কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া হচ্ছে, একটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যা হয় খুব ধীর বা খুব দ্রুত এমন মাত্রায় যেখানে এটি সারা শরীরে অঙ্গগুলিকে খাওয়ানোর জন্য রক্ত প্রবাহের কার্যকারিতা হ্রাস করে। এই রোগটি হার্ট ফেইলিওর বা স্ট্রোকের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

হেলোথেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিযায় বিষয় নিয়ে ওপরের বর্ণনাগুলো দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ডোজ ব্যবহার নিয়েও বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে ভালো জানেন।

বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরে যাবার পর অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ওষুধ অবশেষে পরিবর্তনের নির্দেশ আসলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে।

বুধবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপনে অ্যানেস্থেসিয়াজনিত মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণলয় নির্দেশনায় বলেছে, এখন থেকে হ্যালোথেন ব্যবহার নয়। পরিবর্তে সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।

সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিয়ালজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ান্স এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক বুধবার বলেছেন, হ্যালোথেন এবং আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন একই ওষুধ। তবে হেলোথেন দামে একটু কম বলে ওষুধটি বেশি ব্যবহার করা হতো। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এটি আমদানি না করায় ওষুধটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে, কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ উপায়ে এনে অন্য কিছু মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে, জানান ডা. দেবব্রত বণিক।

হ্যালোথেন ওষুধটি রোগীকে অজ্ঞান করতে ব্যবহার করা হয়। আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেনও রোগীকে অজ্ঞান করতে ব্যবহার হয়। এগুলো আলাদা ওষুধ হলেও মূল কাজ রোগীকে অজ্ঞান করা। একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ওষুধগুলো শরীরে প্রবেশ করালে রোগী অজ্ঞান হয়।

সম্প্রতি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমদ এবং মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমীদ আলম আয়হাম নামে দুই শিশুকে খতনা করানোর জন্য অজ্ঞান করার পর ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। ওই দুই শিশুর মৃত্যুর পর দেশে সঠিক পদ্ধতিতে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হচ্ছে কি না সে প্রশ্ন সামনে আসে।

এছাড়া ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে অ্যান্ডোকপি করার জন্য অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারে দুই রোগীর মৃতুতে তাদের স্বজনরা চিকিৎসক ও হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির অভিযোগ আনেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ হ্যালোথেন নয়, আইসোফ্লুরেন ব্যবহারের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

 

হ্যালোথেন ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, হাত কাঁপানো বা কাঁপুনি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, অ্যাপনিয়া বা শ্বাসের অনুপস্থিতি, হাইপারভেন্টিলেটিং বা দ্রুত/গভীর শ্বাস, রক্তচাপ কমে যাওয়া অ্যারিথিমিয়া।

কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া হচ্ছে, একটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যা হয় খুব ধীর বা খুব দ্রুত এমন মাত্রায় যেখানে এটি সারা শরীরে অঙ্গগুলিকে খাওয়ানোর জন্য রক্ত প্রবাহের কার্যকারিতা হ্রাস করে। এই রোগটি হার্ট ফেইলিওর বা স্ট্রোকের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

হেলোথেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিযায় বিষয় নিয়ে ওপরের বর্ণনাগুলো দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ডোজ ব্যবহার নিয়েও বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে ভালো জানেন।

বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরে যাবার পর অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ওষুধ অবশেষে পরিবর্তনের নির্দেশ আসলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে।

বুধবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপনে অ্যানেস্থেসিয়াজনিত মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণলয় নির্দেশনায় বলেছে, এখন থেকে হ্যালোথেন ব্যবহার নয়। পরিবর্তে সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।

সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিয়ালজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ান্স এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক বুধবার বলেছেন, হ্যালোথেন এবং আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন একই ওষুধ। তবে হেলোথেন দামে একটু কম বলে ওষুধটি বেশি ব্যবহার করা হতো। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এটি আমদানি না করায় ওষুধটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে, কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ উপায়ে এনে অন্য কিছু মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে, জানান ডা. দেবব্রত বণিক।

হ্যালোথেন ওষুধটি রোগীকে অজ্ঞান করতে ব্যবহার করা হয়। আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেনও রোগীকে অজ্ঞান করতে ব্যবহার হয়। এগুলো আলাদা ওষুধ হলেও মূল কাজ রোগীকে অজ্ঞান করা। একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ওষুধগুলো শরীরে প্রবেশ করালে রোগী অজ্ঞান হয়।

সম্প্রতি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমদ এবং মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমীদ আলম আয়হাম নামে দুই শিশুকে খতনা করানোর জন্য অজ্ঞান করার পর ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। ওই দুই শিশুর মৃত্যুর পর দেশে সঠিক পদ্ধতিতে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হচ্ছে কি না সে প্রশ্ন সামনে আসে।

এছাড়া ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে অ্যান্ডোকপি করার জন্য অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারে দুই রোগীর মৃতুতে তাদের স্বজনরা চিকিৎসক ও হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির অভিযোগ আনেন।