ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবনে আউটডোর চালু

মো.খাইরুল ইসলাম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ৫৭ বার পড়া হয়েছে

oppo_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনে সীমিত আকারে আউটডোর, প্যাথলজি, ডেন্টাল ও শিশু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এছাড়া যক্ষা কেন্দ্র আগে আবাসিক এলাকায় ছিলো। আজ থেকে পুরাতন ভবনে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত রোববার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা ও ডেপুটি সিভিল সার্জন দিদারুল ইসলাম এসব নির্দেশনা দেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
যদিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে, তবুও এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। ফলে কোটি টাকার আধুনিক অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতায় সেগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক পদ রয়েছে ৩১টি, তবে কর্মরত মাত্র ১১ জন। এর মধ্যে ৬ জন ঢাকায় ডেপুটেশনে থাকায় কার্যত মাত্র ৫ জন চিকিৎসক প্রতিদিন ৭০০–৮০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন ভবন চালু হয়েছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। চার–পাঁচজন ডাক্তার দিয়ে এত রোগী দেখা সম্ভব না। টিকিট কেটে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকারের কাছে জোর দাবি, দ্রুত এখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হোক। তাহলেই আমরা খেটে খাওয়া মানুষ অল্প খরচে চিকিৎসা নিতে পারবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ শাহরিয়ার অনীক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার থেকে নতুন ভবনের চারটি বিভাগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ১০০ শয্যার হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীর সংকট রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবনে আউটডোর চালু

আপডেট সময় :

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনে সীমিত আকারে আউটডোর, প্যাথলজি, ডেন্টাল ও শিশু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এছাড়া যক্ষা কেন্দ্র আগে আবাসিক এলাকায় ছিলো। আজ থেকে পুরাতন ভবনে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত রোববার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা ও ডেপুটি সিভিল সার্জন দিদারুল ইসলাম এসব নির্দেশনা দেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
যদিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে, তবুও এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। ফলে কোটি টাকার আধুনিক অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতায় সেগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক পদ রয়েছে ৩১টি, তবে কর্মরত মাত্র ১১ জন। এর মধ্যে ৬ জন ঢাকায় ডেপুটেশনে থাকায় কার্যত মাত্র ৫ জন চিকিৎসক প্রতিদিন ৭০০–৮০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন ভবন চালু হয়েছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। চার–পাঁচজন ডাক্তার দিয়ে এত রোগী দেখা সম্ভব না। টিকিট কেটে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকারের কাছে জোর দাবি, দ্রুত এখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হোক। তাহলেই আমরা খেটে খাওয়া মানুষ অল্প খরচে চিকিৎসা নিতে পারবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ শাহরিয়ার অনীক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার থেকে নতুন ভবনের চারটি বিভাগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ১০০ শয্যার হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীর সংকট রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া যাবে।