ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কোটা বাতিল চেয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ১৭০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (৩ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেয়। কোটা বাতিলের দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে শাহবাগ, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। একই দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এ রায় প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে সেদিন বিকেলে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরের দিনও একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এরপর গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কোটা বাতিল চেয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৫:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (৩ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেয়। কোটা বাতিলের দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে শাহবাগ, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। একই দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এ রায় প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে সেদিন বিকেলে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরের দিনও একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এরপর গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।