কেশবপুরের গোপসেনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা
গাছতলায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
যশোরের কেশবপুর উপজেলার কেশবপুরের গোপসেনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা গাছতলায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। স্থানীয় শিক্ষা অনুরাগীদের সহায়তায় মাটি দিয়ে গেথে টিন দিয়ে ছাওয়া একটা রুমে ক্লাস নেওয়া হতো। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে তিন রুম বিশিষ্ট সরকারি ভাবে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ভবনটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর ফলে প্রায় দুই শত শিশু খোলা আকাশের নিচে ও গাছতলায় পাঠদান করছেন। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম । ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রকৃতির ইচ্ছায় যে দিন ঝড় বৃষ্টি হয়, সেদিন আর ঠিকমতো ক্লাস করা হয় না তাদের। নিরুপায় শিক্ষকরাও।লেখা পড়ায়ও ভালো অবস্থানে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে খোঁজ-খবরসহ তথ্য জানতে সেখানে গেলে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনতা এই প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরে এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে বহুতল ভবন দাবি করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহেল ও জান্নাতুল জানান , বিদ্যালয়ে ক্লাসরুম না থাকায় তারা গাছতলায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করে। যেদিন দুর্যোগ দেখা দেয়, সেদিন আর ক্লাস করা হয় না। এছাড়া প্রয়োজনীয় বাথ ও কমনরুম না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
অভিভাবক নজরুল ইসলাম ডালি এবং হাসান আলী খান জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিল্ডিং জরাজীর্ণ হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আমাদের সন্তানরা খুব কষ্টে ক্লাস করে, আমরা সব সময় আতংকে থাকি কোন সময় কি হয়ে যায় । এরপর এখানে ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তিনি সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বহুতল ভবন বরাদ্দের দাবি জানান। প্রতিষ্ঠানের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল খালেক বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির কারণে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন যার ফলে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেয়া হচ্ছে । আপাতত নিজেদের অর্থায়নে কোন রকমে একটা টিন সেট করে, খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। এরপর এখানে ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তিনি সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বহুতল ভবন বরাদ্দের জন্য জোর দাবি জানান।
ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃজহির উদ্দিন বলেন, আমরা প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিদ্যালয়ের ছবি দিয়ে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে। বর্তামনে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে। তিনি ছেলে মেয়েদের জন্য একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি।




















