ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত
- আপডেট সময় : ০৭:০২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ২৮১ বার পড়া হয়েছে
ঘুর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় বাংলাদেশে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত। এসব স্বেচ্ছাসেবক উপকূল অঞ্চলে কাজ শুরু করে দিয়েছে। জনসচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র। প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখা হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দেয়া যায় এজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ৫/৬/৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করা হতে পারে। প্রয়োজনে মহাবিপৎসংকেত (৮, ৯ ও ১০) জারি হতে পারে। শনিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। শনিবার সন্ধ্যার পর এটি বাংলাদেশের দিকে মোড় নিতে পারে। গভীর নিম্নচাপটি এখন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। ঢাকার আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ৭০ শতাংশই বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে। বাকী ৩০ শতাংশ ভারতে।
শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এ পরিণত এবং রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মধ্যদিয়ে অতিক্রম শুরুর পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, রবিবার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
শনিবার মধ্যরাত থেকে এটি ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ভারতের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সব কিছু বিবেচনা করে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পুরো ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। স্থলভাগ অতিক্রমকালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।