ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চিনি আমদানির রেকর্ড

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মাত্র ৫ ঘণ্টা স্থায়ী প্রজ্ঞাপন, চিনির বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা লোপাট

বর্তমানে চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী

বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন

 

ডলার সংকট থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে বুকিং রেট কম থাকায় পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ চিনি আমদানি করে মিল মালিকরা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১৬ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা মূল্যের ২ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার ১ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন চিনি।

চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার একটি কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ানো একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ২২ ফেব্রুয়ারি। রমজানকে সামনে রেখে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

৫ ঘন্টা পর প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারির পরই মিল মালিকরা প্রতিকেজি চিনিতে অন্তত ৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে চিনির বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় মিল মালিকদের সিন্ডিকেট। এর দিন তিনেক পর কেজিতে ১ টাকা কমিয়ে ১৩৪ টাকা নির্ধারণ করে।
অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় সোয়া দুই লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩২ টাকা। কিন্তু এদিন প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও বাজারে সাধারণ চিনির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। রাত ১০টায় প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের আগেই প্রতিকেজি চিনির দাম পৌঁছে যায় ১৩৬ টাকায়।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন দেশে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে।

 

প্রজ্ঞাপনকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াকে চক্রান্ত বলে মনে করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মুহাম্মদ আলতাফ এ গাফ্ফার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আসলে এই সিদ্ধান্তটি ঠিক হয়নি। বর্তমানে চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিল মালিকদের যোগসাজশের অভিযোগ তোলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সাহা। দুই তিনদিনের মাথায় যদি চিনির দাম কমে, তাহলে বুঝতে এ সিদ্ধান্তটি পরিকল্পিত ছিল।

কাজেই বাজারে চিনির সংকট না হওয়ার আশা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন,
আমাদের কাছে চিনি আমদানির যে বিল অব এন্ট্রিগুলো পড়ছে বা জাহাজে চিনি আমদানির যে খবর আমরা পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না রমজান মাসে চিনির কোনো সংকট হতে পারে।

বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চিনি আমদানির রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

মাত্র ৫ ঘণ্টা স্থায়ী প্রজ্ঞাপন, চিনির বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা লোপাট

বর্তমানে চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী

বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন

 

ডলার সংকট থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে বুকিং রেট কম থাকায় পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ চিনি আমদানি করে মিল মালিকরা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১৬ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা মূল্যের ২ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার ১ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন চিনি।

চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার একটি কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ানো একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ২২ ফেব্রুয়ারি। রমজানকে সামনে রেখে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

৫ ঘন্টা পর প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারির পরই মিল মালিকরা প্রতিকেজি চিনিতে অন্তত ৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে চিনির বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় মিল মালিকদের সিন্ডিকেট। এর দিন তিনেক পর কেজিতে ১ টাকা কমিয়ে ১৩৪ টাকা নির্ধারণ করে।
অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় সোয়া দুই লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩২ টাকা। কিন্তু এদিন প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও বাজারে সাধারণ চিনির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। রাত ১০টায় প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের আগেই প্রতিকেজি চিনির দাম পৌঁছে যায় ১৩৬ টাকায়।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন দেশে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে।

 

প্রজ্ঞাপনকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াকে চক্রান্ত বলে মনে করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মুহাম্মদ আলতাফ এ গাফ্ফার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আসলে এই সিদ্ধান্তটি ঠিক হয়নি। বর্তমানে চিনির আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিল মালিকদের যোগসাজশের অভিযোগ তোলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সাহা। দুই তিনদিনের মাথায় যদি চিনির দাম কমে, তাহলে বুঝতে এ সিদ্ধান্তটি পরিকল্পিত ছিল।

কাজেই বাজারে চিনির সংকট না হওয়ার আশা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন,
আমাদের কাছে চিনি আমদানির যে বিল অব এন্ট্রিগুলো পড়ছে বা জাহাজে চিনি আমদানির যে খবর আমরা পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না রমজান মাসে চিনির কোনো সংকট হতে পারে।

বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজান মাসেই চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন।