ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশে চলামান আন্দোলন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তারা।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুতে তিনি বাংলাদেশে চলামান ছাত্র আন্দোলনে সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি অবহিত এবং শান্তি ও সংযমের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ডুজাররিক আরও জানান, বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সামরিক যানের বিষয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশের ভেতরে জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত কোনো যানবাহন আর ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি আমরা পেয়েছি।

আমরা এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এবং আবারও বলতে চাই যে, জাতিসংঘে সেনা ও পুলিশ দিয়ে অবদান রাখা দেশগুলো শুধু তখনই জাতিসংঘ চিহ্নিত এবং জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে, যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে কোনো ম্যান্ডেটেড কাজ দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ছাত্র আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৬:২০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

 

বাংলাদেশে চলামান আন্দোলন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তারা।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুতে তিনি বাংলাদেশে চলামান ছাত্র আন্দোলনে সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি অবহিত এবং শান্তি ও সংযমের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ডুজাররিক আরও জানান, বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সামরিক যানের বিষয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশের ভেতরে জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত কোনো যানবাহন আর ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি আমরা পেয়েছি।

আমরা এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এবং আবারও বলতে চাই যে, জাতিসংঘে সেনা ও পুলিশ দিয়ে অবদান রাখা দেশগুলো শুধু তখনই জাতিসংঘ চিহ্নিত এবং জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে, যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে কোনো ম্যান্ডেটেড কাজ দেওয়া হয়।