জলকেলিতে পাহাড়ে শেষ হলো বৈসাবি উৎসব
- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
উৎসবের রঙে রঙিন সবুজ অরণ্য। রীতি অনুযায়ী বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের জলকেলি দিয়ে শেষ হলো তিনদিনের বর্ষবরণ উৎসব।
বর্ষবরণ উৎসব তথা মাহা সাংগ্রাইং পোয়ে এর জলকেলি উৎসব। এটি এখন শুধু মারমাদেরই না এ উৎসবের রঙ সার্বজনীন। পুরো শহরজুড়ে চলছে পানি খেলা। ৮ থেকে ৮০ সবার প্রিয় একে অপরের গায়ে পানি ছুড়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া।
আবহমান এই উৎসবে যোগ দেয় দেশি-বিদেশি পর্যটক। আনন্দ উদ্দীপনা আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে বর্ণিল হয়ে উঠেছে পুরো পার্বত্য জেলা বান্দরবান।
মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ উৎসব উপলক্ষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তরুণ-তরুণীদের জলকেলি উৎসব। পাশাপাশি মঞ্চে চলে সাংগ্রাইং এর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর দল বেঁধে পানি খেলা প্রতিযোগিতায় নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে নানা রং এর পোশাক পরে সাংগ্রাইং উৎসব পালন করে মারমা সম্প্রদায়।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অন্যান্যদের মাঝে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এস.এম.মনজুরুল হক, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সদস্য লক্ষীপদ দাশ, উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মং মং সিং, সাধারণ সম্পাদক উ ক্য সিংসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।
এবারে মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ ছিল জলকেলি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। রশি টানা, তৈলাক্ত বাশেঁর ওপর আরোহন, কাবাডিসহ খেলাধুলা।
মঙ্গলবার ১৬ (এপ্রিল) বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পার্বত্য জেলায় ৩দিনব্যাপী মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব নববর্ষবরণ সাংগ্রাই উৎসবের।