ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রংপুরে ৪জন নিহত
- আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রংপুরে ৪জন নিহত। এর মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে ২জন ও ঢাকা কলেজের সামনে ১জন নিহতর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এক পথচারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে দুজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পথচারী ও অন্যজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।
অপর দিকে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করতে থাকে। আন্দোলনকারীরাও পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বহিরাগত টোকাইদের এনে সোমবার রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তারা বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন গেটে অবস্থান নিয়েছে।