ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে সহমত: প্রতিমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্পে ভারত ও চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

উজান থেকে পানি আসবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু প্রতিবছর যেন বন্যায় আক্রান্ত না হয় বাংলাদেশ। পানিকে দ্রুত নিষ্কাশন করে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আমাদের ড্রেজিংয়ের ব্যাপার রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এই প্রকল্পের একটা অংশ।

সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আগামীকাল তিনি চীন যাচ্ছেন, তিস্তার ব্যাপারে ভারত ও চায়না- দুই দেশ আমাদেরকে সাহায্য করতে চাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানিটা তো প্রাকৃতিকভাবে আসে। আমাদের কিছু করার নাই। পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যতটা কম প্লাবিত হয় সেভাবে সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চুক্তি না। তিস্তা তো আমাদের প্রকল্প। চীন এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে এবং প্রকল্পটি বাংলাদেশ নেবে। এটার ফান্ড ভারতও দিতে চাচ্ছে, চায়নাও দিতে চাচ্ছে।

আমাদের ভালো খবর হলো, চীন ইতোমধ্যে বলেছে যে তারা ভারতের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে কার কাছ থেকে অর্থ নিলে উপকার হবে, দেশ উপকৃত হবে, স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে তার কাছ থেকেই আমরা নেব। এটা হলো সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমের কথা। কোন দেশ দিল, কে দিল সেটা বড় কথা নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে সহমত: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্পে ভারত ও চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

উজান থেকে পানি আসবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু প্রতিবছর যেন বন্যায় আক্রান্ত না হয় বাংলাদেশ। পানিকে দ্রুত নিষ্কাশন করে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আমাদের ড্রেজিংয়ের ব্যাপার রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এই প্রকল্পের একটা অংশ।

সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আগামীকাল তিনি চীন যাচ্ছেন, তিস্তার ব্যাপারে ভারত ও চায়না- দুই দেশ আমাদেরকে সাহায্য করতে চাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানিটা তো প্রাকৃতিকভাবে আসে। আমাদের কিছু করার নাই। পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যতটা কম প্লাবিত হয় সেভাবে সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চুক্তি না। তিস্তা তো আমাদের প্রকল্প। চীন এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে এবং প্রকল্পটি বাংলাদেশ নেবে। এটার ফান্ড ভারতও দিতে চাচ্ছে, চায়নাও দিতে চাচ্ছে।

আমাদের ভালো খবর হলো, চীন ইতোমধ্যে বলেছে যে তারা ভারতের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে কার কাছ থেকে অর্থ নিলে উপকার হবে, দেশ উপকৃত হবে, স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে তার কাছ থেকেই আমরা নেব। এটা হলো সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমের কথা। কোন দেশ দিল, কে দিল সেটা বড় কথা নয়।