ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

নাটোরে সাংবাদিকরা ভিডিও করায় পুলিশ সুপারের হামলা

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ১১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নাটোরে নারী নির্যাতনের মামলায় ময়মনসিংহের বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার ফজলুল হক এর প্রথম স্ত্রী কর্তিক নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের কৃত মামলায় জামিন নিতে আসলে ট্রাইব‍্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুর রহিম জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কর্তব্যরত পুলিশ আদালত থেকে নিয়ে গারদে ঢোকানোর সময় সাংবাদিকেরা ফুটেজ ভিডিও ছবি নিতে গেলে আসামি ফজলুল হক সাংবাদিকদের ওপর আতর্কিত হামলা করেন ক্যামেরা ভেঙ্গে দেন সাংবাদিকদের উপরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সুপার হাতাহাতি করে লাঞ্ছিত করেন সাংবাদিকদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর রুমে বসতে দেয়। এরপর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিকে বের করা হয়। এ সময় সাংবাদিকরা আসামির ছবি ও ভিডিও নিতে গেলে আসামি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে টেলিভিশন, ক্যামেরাপার্সন এতে হাতে আঘাত পান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের হাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর নাটোরের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। সাংবাদিকরা দাবি করেন— অন্য আসামিদের মতো সাবেক এসপি ফজলুল হককে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাও

 

যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামির দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। ক্যামেরাপার্সনরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না‌। একজন আসামিকে যেভাবে নেওয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এসপিকেও হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাটোরে সাংবাদিকরা ভিডিও করায় পুলিশ সুপারের হামলা

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

নাটোরে নারী নির্যাতনের মামলায় ময়মনসিংহের বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার ফজলুল হক এর প্রথম স্ত্রী কর্তিক নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের কৃত মামলায় জামিন নিতে আসলে ট্রাইব‍্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুর রহিম জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কর্তব্যরত পুলিশ আদালত থেকে নিয়ে গারদে ঢোকানোর সময় সাংবাদিকেরা ফুটেজ ভিডিও ছবি নিতে গেলে আসামি ফজলুল হক সাংবাদিকদের ওপর আতর্কিত হামলা করেন ক্যামেরা ভেঙ্গে দেন সাংবাদিকদের উপরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সুপার হাতাহাতি করে লাঞ্ছিত করেন সাংবাদিকদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর রুমে বসতে দেয়। এরপর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিকে বের করা হয়। এ সময় সাংবাদিকরা আসামির ছবি ও ভিডিও নিতে গেলে আসামি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে টেলিভিশন, ক্যামেরাপার্সন এতে হাতে আঘাত পান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের হাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর নাটোরের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। সাংবাদিকরা দাবি করেন— অন্য আসামিদের মতো সাবেক এসপি ফজলুল হককে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাও

 

যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামির দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। ক্যামেরাপার্সনরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না‌। একজন আসামিকে যেভাবে নেওয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এসপিকেও হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।