ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোরে হত্যার দায়ে একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক শিশুকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।  রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে নাটোর শিশু আদালত জেলা ও দায়রা জজ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ এই আটকাদেশ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইব্রাহিম হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী ইব্রাহীম হোসেন একজন মাদক মাদক সেবী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় রবিউলকে মাদক সেবনের জন্য প্ররোচিত করত। রবিউল তার কথা না শুনে তার মাদক সেবনের বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিবে বলে জানায়। পরে ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে স্থানীয় জাহাঙ্গিরের দোকানের সামনে রবিউলকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে একটি জমিতে ফেলে আগাচা দিয়ে ঢেকে রেখে ইব্রাহীম ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পরে ২মে সকালে রবিউলের মরদেহ বিলে পড়ে আছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার মরদেহ সনাক্ত করে। এঘটনায় রবিউলের বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত গতকাল রোববার দুপুরে আসামি ইব্রাহিম হোসেনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত আসামি ইব্রাহিম অপ্রাপ্ত হওয়ায় নাটোরের শিশু আদালতে তার বিচার পরিচালনা করা হয়। এ মামলায় আসামি ইব্রাহিমকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাটোরে হত্যার দায়ে একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ

আপডেট সময় :

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক শিশুকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।  রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে নাটোর শিশু আদালত জেলা ও দায়রা জজ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ এই আটকাদেশ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইব্রাহিম হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী ইব্রাহীম হোসেন একজন মাদক মাদক সেবী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় রবিউলকে মাদক সেবনের জন্য প্ররোচিত করত। রবিউল তার কথা না শুনে তার মাদক সেবনের বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিবে বলে জানায়। পরে ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে স্থানীয় জাহাঙ্গিরের দোকানের সামনে রবিউলকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে একটি জমিতে ফেলে আগাচা দিয়ে ঢেকে রেখে ইব্রাহীম ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পরে ২মে সকালে রবিউলের মরদেহ বিলে পড়ে আছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার মরদেহ সনাক্ত করে। এঘটনায় রবিউলের বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত গতকাল রোববার দুপুরে আসামি ইব্রাহিম হোসেনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত আসামি ইব্রাহিম অপ্রাপ্ত হওয়ায় নাটোরের শিশু আদালতে তার বিচার পরিচালনা করা হয়। এ মামলায় আসামি ইব্রাহিমকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।