ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে সড়ক ও জনপথের জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান Logo ফুলপুরে অবৈধ ভারতীয় পণ্যসহ সমন্বয়ক আটক Logo বকশীগঞ্জে স্থানীয়দের সঙ্গে ৩৫ বিজিবির অধিনায়কের মতবিনিময় সভা Logo পলাশবাড়ীতে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী Logo রাজবাড়ীতে সরকারী প্রনোদনার উচ্চ ফলনশীল শরীষা Logo ইসলামপুরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন Logo বিএনপির তদারকি কমিটির সদস্য পদ ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন Logo ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথে ৩৫ টি বৈধ-অবৈধ রেল ক্রসিং! বিধি বহিঃভুক্ত পারাপার! Logo আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহরে দাবিতে মানববন্ধন Logo ফেনীর মহিপালে যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল জব্দ আটক ও চালক গ্রেফতার

বাংলাদেশিদের পূর্ব তিমুরে বিনিয়োগের আহ্বান প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পূর্ব-তিমুরে বিনিয়োগের আহবান জানালেন ঢাকা সফরে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে পূর্ব তিমুরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।

রোববার (ডিসেম্বর ১৫) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর পূর্ব তিমুর ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তার দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রসঙ্গে রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।

রামোস-হোর্তা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।

অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আতিথেয়তার ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

এর আগে শনিবার ১০টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সফরসঙ্গীরা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশিদের পূর্ব তিমুরে বিনিয়োগের আহ্বান প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পূর্ব-তিমুরে বিনিয়োগের আহবান জানালেন ঢাকা সফরে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে পূর্ব তিমুরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।

রোববার (ডিসেম্বর ১৫) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর পূর্ব তিমুর ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তার দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রসঙ্গে রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।

রামোস-হোর্তা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।

অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আতিথেয়তার ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

এর আগে শনিবার ১০টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সফরসঙ্গীরা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।