ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খাতের সফল খামারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান Logo কাজী মামুনুর রশীদ কচি সদস্য হওয়াতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা Logo মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ Logo মর্গ্যান স্কুলের দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর, ৬ শিক্ষকের নামে মামলা Logo মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত  Logo মাদক, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ প্রতিরোধের অঙ্গীকার করলেন  ছাত্রদল নেতা সোহেল   Logo ঝিনাইদহে অনলাইন জুয়া সাইটের বাংলাদেশী এজেন্ট গ্রেফতার Logo ভোলায় অস্ত্র গুলিসহ সিরাজ বাহিনীর দুই সদস্য আটক Logo ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড মোতায়েন 

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে চা বিক্রেতা

ভান্ডারিয়া(পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক চা বিক্রেতা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-  ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করত। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছে। এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায় তার পরে তাকে আর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত  তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ¦লছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে অগুন নিয়ন্ত্র করে এবং এলাকা বাসী  ও পুলিশ কে খবর দেন।  কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যা কান্ডঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে কে পাওয়া যাচ্ছে না। অবুঝ সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়ত হত্যার কোন রহস্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। অভিযুক্ত হত্যাকারী মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান  ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আহমদ আনওয়ার জানায়  পারিবারিক কারণে এ হত্যা কান্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করা যাচ্ছে। তিনি ২০দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন  এখানে অন্য কোন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে চা বিক্রেতা

আপডেট সময় : ০২:৪৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক চা বিক্রেতা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-  ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করত। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছে। এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায় তার পরে তাকে আর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত  তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ¦লছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে অগুন নিয়ন্ত্র করে এবং এলাকা বাসী  ও পুলিশ কে খবর দেন।  কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যা কান্ডঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে কে পাওয়া যাচ্ছে না। অবুঝ সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়ত হত্যার কোন রহস্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। অভিযুক্ত হত্যাকারী মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান  ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আহমদ আনওয়ার জানায়  পারিবারিক কারণে এ হত্যা কান্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করা যাচ্ছে। তিনি ২০দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন  এখানে অন্য কোন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।