ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

অনিয়মের বেড়াজালে উন্নয়ন কাজ

ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ বঞ্চিত

চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌলভীবাজার শহরের অদুরে ভীট বাড়ী রখম ভূমিকে চারা দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৮০% অর্থ হইতে বঞ্চিত করার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে উচ্চ মূল্যের জমির দাম নিম্ন শ্রেণীর ধরেছে মৌলভীবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখা। জমির দাম নির্ধারনে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম-নীতি। বাজার মূল্যের এক চতুর্থাংশও দেয়া হচ্ছে না। সরকারের উন্নয়ন কাজ এখন বোঝায় পরিনত হয়েছে।

জমির মালিকরা জেলা প্রশাসনের কাছে সুবিচার না পেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হচ্ছেন। প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বঞ্চিত ভূমির মালিক প্রবাসী আব্দুল জব্বার ও তার আমমোক্তার সিরাজ মিয়া জানান- মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলার- মৌজা-বর্ষিজোড়া,জেএলনং-১০৫, আর এস খতিয়ান নং-৮১, আর এস নামজারী খতিয়ান নং-২২৯৩, আর এস দাগ নং-৩০৩২, পরিমান-০.০০২৩ একর, আর এস দাগ নং- ২৯৫৫, পরিমান (০.০২০৩+০.০১৬০)=০.০৩৬৩ একর। বিগত ২০/০৮/২৩ইং তারিখের ১৫২নং স্বারকযুক্ত নোটিশের বর্ণিত ভিট বাড়ী রকম- ০.০৩৮৬ একর ভূমি-কে চারা দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে ৯২,২১৫/৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে মৌলভীবাজার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, বর্তমান জেলা প্রশাসক মো: ইসরাঈল হোসেন, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা সনদীপ তালুকদারকে মোকাবিলা বিবাদী করে মহামান্য হাই কোর্টে পিটিশন মামলা (অবমাননার আবেদন নং- ৭৩/২৪ইং) এবং রিট পিটিশন মামলা নং-১১৮৪৪/২৩ইং) দায়ের করেছেন।

তিনি আরো জানান- সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল ছায়েম মামুন-এর প্রত্যক্ষ সহযোগীতার কারণে উক্ত ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৮০% অর্থ হইতে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। জমির শ্রেণী অনুযায়ী খাজনা আদায় করছে সরকার। আমরা ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল ছায়েম মামুন বলেন- সরেজমিন পরিদর্শন করে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সিদ্বান্ত দিয়েছেন। শুনেছি, উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে। প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে কম মূল্য নির্ধারণ করা হয় নি। সরেজমিন চারা ছিল তাই জমির শ্রেণী চারা উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে অধিগ্রহনকৃত বাউন্ডারি বেস্টিত একি দাগের ভূমি ভিটবাড়ি হিসেবে অধিগ্রহণ করা হয়। সরেজমিনে বসতবাড়ী ও রয়েছে। তাই একি দাগের ভূমি, চারা কিভাবে হয় জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অনিয়মের বেড়াজালে উন্নয়ন কাজ

ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ বঞ্চিত

আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজার শহরের অদুরে ভীট বাড়ী রখম ভূমিকে চারা দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৮০% অর্থ হইতে বঞ্চিত করার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে উচ্চ মূল্যের জমির দাম নিম্ন শ্রেণীর ধরেছে মৌলভীবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখা। জমির দাম নির্ধারনে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম-নীতি। বাজার মূল্যের এক চতুর্থাংশও দেয়া হচ্ছে না। সরকারের উন্নয়ন কাজ এখন বোঝায় পরিনত হয়েছে।

জমির মালিকরা জেলা প্রশাসনের কাছে সুবিচার না পেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হচ্ছেন। প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বঞ্চিত ভূমির মালিক প্রবাসী আব্দুল জব্বার ও তার আমমোক্তার সিরাজ মিয়া জানান- মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলার- মৌজা-বর্ষিজোড়া,জেএলনং-১০৫, আর এস খতিয়ান নং-৮১, আর এস নামজারী খতিয়ান নং-২২৯৩, আর এস দাগ নং-৩০৩২, পরিমান-০.০০২৩ একর, আর এস দাগ নং- ২৯৫৫, পরিমান (০.০২০৩+০.০১৬০)=০.০৩৬৩ একর। বিগত ২০/০৮/২৩ইং তারিখের ১৫২নং স্বারকযুক্ত নোটিশের বর্ণিত ভিট বাড়ী রকম- ০.০৩৮৬ একর ভূমি-কে চারা দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে ৯২,২১৫/৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে মৌলভীবাজার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, বর্তমান জেলা প্রশাসক মো: ইসরাঈল হোসেন, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা সনদীপ তালুকদারকে মোকাবিলা বিবাদী করে মহামান্য হাই কোর্টে পিটিশন মামলা (অবমাননার আবেদন নং- ৭৩/২৪ইং) এবং রিট পিটিশন মামলা নং-১১৮৪৪/২৩ইং) দায়ের করেছেন।

তিনি আরো জানান- সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল ছায়েম মামুন-এর প্রত্যক্ষ সহযোগীতার কারণে উক্ত ভূমি অধিগ্রহনের বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৮০% অর্থ হইতে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। জমির শ্রেণী অনুযায়ী খাজনা আদায় করছে সরকার। আমরা ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল ছায়েম মামুন বলেন- সরেজমিন পরিদর্শন করে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সিদ্বান্ত দিয়েছেন। শুনেছি, উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে। প্রকৃত বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে কম মূল্য নির্ধারণ করা হয় নি। সরেজমিন চারা ছিল তাই জমির শ্রেণী চারা উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে অধিগ্রহনকৃত বাউন্ডারি বেস্টিত একি দাগের ভূমি ভিটবাড়ি হিসেবে অধিগ্রহণ করা হয়। সরেজমিনে বসতবাড়ী ও রয়েছে। তাই একি দাগের ভূমি, চারা কিভাবে হয় জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।