মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী
- আপডেট সময় : ১১:২৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে রোববার সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কদিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারী ও মুরিদানবৃন্দ সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলা চলছে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন- সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
কর্মসূচি
এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ভাসানীর মাজার জিয়ারত করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে ভাসানীর মাজারের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
পরে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পরিবারবর্গ ফুল দেবেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।