মাদারীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী দীপ্তি হত্যায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড

- আপডেট সময় : ২১ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এএম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ হোসেন। পেশায় তিনি ইজিবাইক চালক।
নির্যাতনের শিকার দীপ্তি (১৫) মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে দীপ্তি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
মামলার পিপি অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবীর জানান, দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন বাবা মজিবর ফকির মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এরপর বাবা মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তে র্যাব-৮ ইজিবাইক চালক সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাজ্জাদ আগেও শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজার ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই, সেদিন ছিলো বৃষ্টি। দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশে। কিন্তু একা পেয়ে সাজ্জাদ জোর করে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তারে বেঁধে ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দীপ্তির বাবা বলেন, মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।