মোবাইল ও ফেসবুকে ইন্টারনেট চালু কবে
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ২১৭ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে টানা পাঁচদিন সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা গত বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়।
মোবাইল ইন্টারনেট, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্টারনেট সেবায় আওতায় আসেনি। কবে নাগাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট
কোনো তথ্য পাওয়া মেলেনি।
মোবাইল ইন্টারনেট শিগগির চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার রাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে সরকারি হাসপাতাল, ওয়াসা, ডেসকো এবং ব্যাংকগুলোতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অফিস, বাণিজ্যিক এলাকা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টারনেট দেওয়া হয়।
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বুধবার (২৪ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে এ বিষয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত
হবে। ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সেবার আওতাধীন এলাকার পরিধি বাড়াবো। শিগগির সার্বিকভাবে পুরো ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত ডাটা সেন্টার পরিদর্শন শেষে ইন্টারনেট সেবা চালুর ইঙ্গিত দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি ফিরিয়ে আনছি। কেউ যেন মিথ্যা ও গুজবে বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য অনুরোধ করবো। মিথ্যা সংবাদ দেখে আপনারা কেউ বিভ্রান্ত
হবেন না, আবেগতাড়িত হবেন না। মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোর সংবাদকে প্রাধান্য দিতে হবে, সেগুলো সবার আগে জনগণকে গ্রহণ করতে হবে।
গত ১৮ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টা পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই সংযোগ চালু ছিল। এরপর সেটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটে মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও।
একারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসহ ইন্টারনেটকেন্দ্রিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ সংবাদমাধ্যমগুলোর কার্যক্রমেও এর প্রভাব দেখা যায়।