রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি রোববার, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে
মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী নই, বিরোধিতা করছি নাতি-পুতি কোটার
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন। তারা রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকায় গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
একই সময়ে আন্দোলনে থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও গণপদযাত্রা করে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গত শুক্রবার শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ছাড়া আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটাকে আমরা যৌক্তিক মনে করছি। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা এই ৫ শতাংশের অন্তর্ভুক্ত। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী নই, বিরোধিতা করছি নাতি-পুতি কোটার। কোটার শতাংশ নিয়ে সরকারের গবেষণাভিত্তিক তথ্য থাকলে তা নিয়ে পরে আলোচনা হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। পাশাপাশি এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচিও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ। বলেন, সকল গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের লক্ষ্যে রোববার সকাল ১১টায় গণপদযাত্রা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি করব। কর্মসূচি শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে।
কুমিল্লায় গিয়েছিলেন সমন্বয়কেরা
গত বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে কুমিল্লায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল। আজ সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আজ আমরা (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অন্য সব ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে। তাদের সমস্যাগুলো সরাসরি শোনা ও পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ সুপারের কার্যালায়ে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক করা হয়েছে।