ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অভিযানের নামে টাকা লুটের অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে Logo রামুতে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মনসুর আলী সিকদার উচ্চ বিদ্যালয় Logo ১৩ মামলার আসামী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ নুর হোসেন সেলিম গ্রেপ্তার Logo ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার Logo ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ Logo পিএসসির সুপারিশ ঝুলে আছে ৯ মাস ধরে Logo ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ Logo অভিযুক্তদের সম্পদ ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার নেপথ্যের গল্প Logo বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ Logo হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থারসহ আসামী ১৯

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১১।
আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হানিফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম উল্লেখ করা হয়নি), সাবেক এনএসআই প্রধান (নাম উল্লেখ করা হয়নি) ও ঢাকা রেঞ্চের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক। তিনি বলেন, আগে যারা নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তা ছিলেন- অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও তারা সে সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন। তারা জনগণের ভোট ছাড়া প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। সংসদ সদস্যদের বিজয়ী ঘোষণা করা অভিযোগকারীদের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয় ছিল, সেসব অপরাধের ফিরিস্তি নিয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা অভিযোগ পর্যালোচনা করে মামলা রেকর্ড করবো।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি প্রধানসহ তারা সম্মিলিতভাবে প্রশাসনিক নির্বাচন করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। তিনিসহ ১৯ জনকে আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সংবিধান লঙ্ঘনের দায় এবং অপরাধ করার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দিয়েছিলাম। সে অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সেসবের ছায়ালিপি ও আলামতসহ অভিযোগ জমা দিয়েছি শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বিএনপির মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থারসহ আসামী ১৯

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১১।
আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হানিফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম উল্লেখ করা হয়নি), সাবেক এনএসআই প্রধান (নাম উল্লেখ করা হয়নি) ও ঢাকা রেঞ্চের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক। তিনি বলেন, আগে যারা নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তা ছিলেন- অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও তারা সে সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন। তারা জনগণের ভোট ছাড়া প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। সংসদ সদস্যদের বিজয়ী ঘোষণা করা অভিযোগকারীদের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয় ছিল, সেসব অপরাধের ফিরিস্তি নিয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা অভিযোগ পর্যালোচনা করে মামলা রেকর্ড করবো।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি প্রধানসহ তারা সম্মিলিতভাবে প্রশাসনিক নির্বাচন করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। তিনিসহ ১৯ জনকে আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সংবিধান লঙ্ঘনের দায় এবং অপরাধ করার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দিয়েছিলাম। সে অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সেসবের ছায়ালিপি ও আলামতসহ অভিযোগ জমা দিয়েছি শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে।