ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত

হাসিনা-দোসরদের বিচার করা হবে : এ্যানি

আব্দুল নুর বাবুল, জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রব্যমূল্যে উধর্বগতি রোধ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার,দ্রুত গনতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সভায় সভাপতিত্ব করেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপার্সনে উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাতীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (মধ্যপ্রাচ্য) আলহাজ্ব আহমেদ আলী মুকিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতা সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্হানীয় বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার। প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিগত ১৭টি বছর দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, শেখ হাসিনার নেশাই ছিল, ভিন্ন দল দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা – হামলা ও খুন – ঘুম করা। দেশে কোন আইন কানুন ছিল না।

বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠানে নিজ দলের লোক বসিয়ে, রিমোট কন্ট্রোল ছিল শেখ হাসিনার হাতে, আমাদের দলের কতো নেতাকর্মীদের ঘুম -খুন করেছে। কতো মিথ্যা যড়যন্ত্র মূলক মামলায় বছরের পর- বছরের জেলেরঘানি টানতে হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ফেরারী হয়ে দেশ- বিদেশে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে আখের গুছিয়ে রেখেছে। বৈষম্য বিরুদ্ধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত বাহিনিরা গুলি করে হত্যা করে, কতো মা- বাবার বুক খালি করেছে এর কোন হিসাব নেই। হাজার – হাজার ছাত্র – জনতাকে পাখির মতো গুলি করে পুঙ্গ করে দিয়েছে। খুনি হাসিনার অপকর্মে দেশের আকাশ- বাতাস কেঁদে উঠেছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানকে একাধিক মিথ্যা মামলা জড়িয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছিল। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ দেশের ও দেশের মানুষ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়ে।

পরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখনো পাশের একটি দেশে বসে দেশ ধ্বংসের যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সবাই সজাগ থাকতে হবে, যাতে যড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীরা সফল হতে না পারে। বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্যে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদিগ্ন দেশের সাধারণ মানুষ, দ্রুত নির্বাচনের আহবান জানানো হয়। বর্তমান সরকারের নিকট। এই সমাবেশেটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়। জেলা বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল – মিছিলে সমাবেশ পরিপূর্ণ হয়েছে। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলার নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত

হাসিনা-দোসরদের বিচার করা হবে : এ্যানি

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দ্রব্যমূল্যে উধর্বগতি রোধ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার,দ্রুত গনতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সভায় সভাপতিত্ব করেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপার্সনে উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাতীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (মধ্যপ্রাচ্য) আলহাজ্ব আহমেদ আলী মুকিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতা সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্হানীয় বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার। প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিগত ১৭টি বছর দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, শেখ হাসিনার নেশাই ছিল, ভিন্ন দল দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা – হামলা ও খুন – ঘুম করা। দেশে কোন আইন কানুন ছিল না।

বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠানে নিজ দলের লোক বসিয়ে, রিমোট কন্ট্রোল ছিল শেখ হাসিনার হাতে, আমাদের দলের কতো নেতাকর্মীদের ঘুম -খুন করেছে। কতো মিথ্যা যড়যন্ত্র মূলক মামলায় বছরের পর- বছরের জেলেরঘানি টানতে হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ফেরারী হয়ে দেশ- বিদেশে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে আখের গুছিয়ে রেখেছে। বৈষম্য বিরুদ্ধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত বাহিনিরা গুলি করে হত্যা করে, কতো মা- বাবার বুক খালি করেছে এর কোন হিসাব নেই। হাজার – হাজার ছাত্র – জনতাকে পাখির মতো গুলি করে পুঙ্গ করে দিয়েছে। খুনি হাসিনার অপকর্মে দেশের আকাশ- বাতাস কেঁদে উঠেছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানকে একাধিক মিথ্যা মামলা জড়িয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছিল। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ দেশের ও দেশের মানুষ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়ে।

পরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখনো পাশের একটি দেশে বসে দেশ ধ্বংসের যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সবাই সজাগ থাকতে হবে, যাতে যড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীরা সফল হতে না পারে। বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্যে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদিগ্ন দেশের সাধারণ মানুষ, দ্রুত নির্বাচনের আহবান জানানো হয়। বর্তমান সরকারের নিকট। এই সমাবেশেটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়। জেলা বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল – মিছিলে সমাবেশ পরিপূর্ণ হয়েছে। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলার নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।