ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

১৯ বছর পর লাভের মুখ দেখলো নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

মোজাম্মেল হক, লালপুর নাটোর
  • আপডেট সময় : ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের বেসরকারী মিলকারখানাগুলোর ধারাবাহিক উন্নয়ন হলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক লোকসানের চিত্র ফুঠে ওঠে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যে ক’টি মডেল কর্পোরেশনের শুরু হয়েছিলো, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থা। তারই সহযোগি প্রতিষ্ঠান নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস।

এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৯ বছর লোকসানের পর চলতি বছরে লাভের মুখ দেখলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন বেশী আখ মাড়াই করে রবিবার ভোরে ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে। অধিক পরিমানে আখ মাড়াই করায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর চিনিকলটি ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চিনি মজুদ করেছে। লাভ পরিমান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

মিল সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মোসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে। ১২ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে গত বছর ১০ নভেম্বর আখ মাড়াই শুরু করে। ১১৪ কার্যদিবসে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ১০ হাজার ৭শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে।

রবিবার ভোর চার টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আখমাড়াই কার্যক্রম বন্ধের সময় চিনি আহরনের হার ছিল ৫.৬৪ শতাংশ। চিনিকলটিতে সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মিলের কাছে আখ সরবরাহকারী আখচাষীদের পাওনার পরিমাণ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

গত মৌসুমে ৮১ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন আখমাড়াইয়ের পর আখের অভাবে মাত্র ৫২ দিনের মাথায় মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮শ ৭ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত আখের অভাবে ২০০৫ সাল থেকে চিনিকলটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এবছর প্রশাসনের সহযোগীতায় মিল এলাকায় পাওয়ার ক্রাশারে (অবৈধ আখমাড়াই যন্ত্র) আখমাড়াই বন্ধ রাখতে পারার কারণেই চিনিকলটির আখ মাড়াই লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন জানান, গত ১০ বছরের ইতহাসে এ বছরই প্রথম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ মে.টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩-২৪ আখ রোপন মৌসুমে মিল এলাকায় ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, , দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৫ ভাগ চিনি উৎপাদন করেছে নর্থবেঙ্গল সুগার মির। এলাকার পাওয়ার ক্রাশার বন্ধ, আখচাষীসহ সকলের সহযোগীতা ও চিনিকলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর লাভের মুখ দেখছে চিনিকলটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১৯ বছর পর লাভের মুখ দেখলো নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশের বেসরকারী মিলকারখানাগুলোর ধারাবাহিক উন্নয়ন হলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক লোকসানের চিত্র ফুঠে ওঠে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যে ক’টি মডেল কর্পোরেশনের শুরু হয়েছিলো, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থা। তারই সহযোগি প্রতিষ্ঠান নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস।

এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৯ বছর লোকসানের পর চলতি বছরে লাভের মুখ দেখলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন বেশী আখ মাড়াই করে রবিবার ভোরে ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে। অধিক পরিমানে আখ মাড়াই করায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর চিনিকলটি ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চিনি মজুদ করেছে। লাভ পরিমান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

মিল সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মোসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে। ১২ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে গত বছর ১০ নভেম্বর আখ মাড়াই শুরু করে। ১১৪ কার্যদিবসে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ১০ হাজার ৭শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে।

রবিবার ভোর চার টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আখমাড়াই কার্যক্রম বন্ধের সময় চিনি আহরনের হার ছিল ৫.৬৪ শতাংশ। চিনিকলটিতে সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মিলের কাছে আখ সরবরাহকারী আখচাষীদের পাওনার পরিমাণ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

গত মৌসুমে ৮১ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন আখমাড়াইয়ের পর আখের অভাবে মাত্র ৫২ দিনের মাথায় মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮শ ৭ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত আখের অভাবে ২০০৫ সাল থেকে চিনিকলটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এবছর প্রশাসনের সহযোগীতায় মিল এলাকায় পাওয়ার ক্রাশারে (অবৈধ আখমাড়াই যন্ত্র) আখমাড়াই বন্ধ রাখতে পারার কারণেই চিনিকলটির আখ মাড়াই লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন জানান, গত ১০ বছরের ইতহাসে এ বছরই প্রথম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ মে.টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩-২৪ আখ রোপন মৌসুমে মিল এলাকায় ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, , দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৫ ভাগ চিনি উৎপাদন করেছে নর্থবেঙ্গল সুগার মির। এলাকার পাওয়ার ক্রাশার বন্ধ, আখচাষীসহ সকলের সহযোগীতা ও চিনিকলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর লাভের মুখ দেখছে চিনিকলটি।