ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যাত্রীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বিমান কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব নাকচ করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বেগম খালেদা জিয়া Logo মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী আহত Logo শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস Logo আধুনিক বিমান বাহিনী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলিথিনের দৌরাত্ম্যও পাটের ব্যাগে অনীহা Logo লাইসেন্স পাওয়ার পথে স্টারলিংক Logo বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা… Logo অতিষ্ঠ কারা কর্তৃপক্ষ Logo ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া আসছেন জোবাইদা শার্মিলা ও নাতনিরা

১৯ বছর পর লাভের মুখ দেখলো নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

মোজাম্মেল হক, লালপুর নাটোর
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৬৭০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের বেসরকারী মিলকারখানাগুলোর ধারাবাহিক উন্নয়ন হলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক লোকসানের চিত্র ফুঠে ওঠে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যে ক’টি মডেল কর্পোরেশনের শুরু হয়েছিলো, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থা। তারই সহযোগি প্রতিষ্ঠান নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস।

এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৯ বছর লোকসানের পর চলতি বছরে লাভের মুখ দেখলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন বেশী আখ মাড়াই করে রবিবার ভোরে ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে। অধিক পরিমানে আখ মাড়াই করায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর চিনিকলটি ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চিনি মজুদ করেছে। লাভ পরিমান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

মিল সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মোসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে। ১২ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে গত বছর ১০ নভেম্বর আখ মাড়াই শুরু করে। ১১৪ কার্যদিবসে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ১০ হাজার ৭শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে।

রবিবার ভোর চার টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আখমাড়াই কার্যক্রম বন্ধের সময় চিনি আহরনের হার ছিল ৫.৬৪ শতাংশ। চিনিকলটিতে সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মিলের কাছে আখ সরবরাহকারী আখচাষীদের পাওনার পরিমাণ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

গত মৌসুমে ৮১ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন আখমাড়াইয়ের পর আখের অভাবে মাত্র ৫২ দিনের মাথায় মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮শ ৭ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত আখের অভাবে ২০০৫ সাল থেকে চিনিকলটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এবছর প্রশাসনের সহযোগীতায় মিল এলাকায় পাওয়ার ক্রাশারে (অবৈধ আখমাড়াই যন্ত্র) আখমাড়াই বন্ধ রাখতে পারার কারণেই চিনিকলটির আখ মাড়াই লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন জানান, গত ১০ বছরের ইতহাসে এ বছরই প্রথম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ মে.টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩-২৪ আখ রোপন মৌসুমে মিল এলাকায় ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, , দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৫ ভাগ চিনি উৎপাদন করেছে নর্থবেঙ্গল সুগার মির। এলাকার পাওয়ার ক্রাশার বন্ধ, আখচাষীসহ সকলের সহযোগীতা ও চিনিকলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর লাভের মুখ দেখছে চিনিকলটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১৯ বছর পর লাভের মুখ দেখলো নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

 

বাংলাদেশের বেসরকারী মিলকারখানাগুলোর ধারাবাহিক উন্নয়ন হলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক লোকসানের চিত্র ফুঠে ওঠে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যে ক’টি মডেল কর্পোরেশনের শুরু হয়েছিলো, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থা। তারই সহযোগি প্রতিষ্ঠান নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস।

এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৯ বছর লোকসানের পর চলতি বছরে লাভের মুখ দেখলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন বেশী আখ মাড়াই করে রবিবার ভোরে ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে। অধিক পরিমানে আখ মাড়াই করায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর চিনিকলটি ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চিনি মজুদ করেছে। লাভ পরিমান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

মিল সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মোসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে। ১২ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে গত বছর ১০ নভেম্বর আখ মাড়াই শুরু করে। ১১৪ কার্যদিবসে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ১০ হাজার ৭শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে।

রবিবার ভোর চার টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আখমাড়াই কার্যক্রম বন্ধের সময় চিনি আহরনের হার ছিল ৫.৬৪ শতাংশ। চিনিকলটিতে সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১শ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মিলের কাছে আখ সরবরাহকারী আখচাষীদের পাওনার পরিমাণ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

গত মৌসুমে ৮১ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন আখমাড়াইয়ের পর আখের অভাবে মাত্র ৫২ দিনের মাথায় মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮শ ৭ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত আখের অভাবে ২০০৫ সাল থেকে চিনিকলটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এবছর প্রশাসনের সহযোগীতায় মিল এলাকায় পাওয়ার ক্রাশারে (অবৈধ আখমাড়াই যন্ত্র) আখমাড়াই বন্ধ রাখতে পারার কারণেই চিনিকলটির আখ মাড়াই লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন জানান, গত ১০ বছরের ইতহাসে এ বছরই প্রথম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ মে.টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩-২৪ আখ রোপন মৌসুমে মিল এলাকায় ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, , দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৫ ভাগ চিনি উৎপাদন করেছে নর্থবেঙ্গল সুগার মির। এলাকার পাওয়ার ক্রাশার বন্ধ, আখচাষীসহ সকলের সহযোগীতা ও চিনিকলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর লাভের মুখ দেখছে চিনিকলটি।