৩৯ বছরের রেকর্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা!
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
রাত দিনে দহনজ্বালা অনুভূত। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপপ্রবাহ মুক্তির কোন পূর্বাভাস নেই আবহাওয়া অফিসের। বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কমে আসবে এটুকুই জানাচ্ছে আগারগাঁও হাওয়া অফিস। গ্রাম-গঞ্জে সমানতালে বয়ে চলেছে, দাবদাহ।
৩৯ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ৪৩.৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে চুয়াডঙ্গায়। তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শীততাপযন্ত্রের দোকানে লম্বা লাইন।
এর আগে ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান থেকে শুরু করে ঠান্ডা হাওয়া পেতে যেসব ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম প্রয়োজন সাধ্যমত তা কিনে নিচ্ছে মানুষ। ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না।
ডা. তুষার মাহমুদ মতে আগামী দুই দিন সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিপদজনক লু হাওয়া প্রবাহিত হবে। এসময় বাইরের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রী হলেও অনুভূতি হবে ৪৫ ডিগ্রীর মতো। একনাগাড়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ঘন্টা টানা রোদের মধ্যে থাকলে হিট স্ট্রোক ও সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশিক্ষণ রোদের নীচে থাকলে নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত ও মাথা ঘুরে পড়ে যাবারও আশঙ্কা করেন চিকিৎসকেরা।
এমন পরিস্থিতিতে পানি পিপাসা না পেলেও ১৫-২০ মিনিট পরপর অল্প করে পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে ভিজা রুমাল বা কাপড় দিয়ে হাত মুখ ও ঘাড় মুছে নিন। অযথা বাকবিতন্ডা এড়িয়ে চলুন, মেজাজ ও মাথা ঠান্ডা রাখুন।