৫ মাস পর ভারতে ফিরে গেলো মিতালি এক্সপ্রেস
- আপডেট সময় : ০৫:১৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। মূলত সে সময় থেকেই দু’দেশের মধ্যে চলাচলকারী বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাস সার্ভিস চালু হলেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকায় আটকে পড়া ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি রুটে চলাচলকারী মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঁচ মাস পর বুধবার ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুঁড়িতে ফিরেছে।
দুই দেশের মধ্যে এই ট্রেনের পরিষেবা আবার কবে চালু হবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র যায়, বুধবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি দিয়ে ভারতের হলদিবাড়ী প্রবেশ করে ট্রেনটি। ১৩১৩২/৩১ নম্বর মিতালি ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে গত ১৭ জুলাই ভারতের নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে ঢাকায় রওনা দিয়ে ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে।
কিন্তু হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের কারণে ঢাকায় আটকা পড়ে ট্রেনটি। ২০২২ সালের ১ জুন উদ্বোধনের পর নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে সপ্তাহে রবি ও বুধবার ভারতীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মিতালী এক্সপ্রেস রাত ১০টায় পৌঁছাতো।
ঢাকা থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে নিউ জলপাইগুঁড়ি স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ৭টায়। সকালে বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিনে। আবার ভারতে মিতালির বগিগুলো হলদিবাড়ী স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে ইঞ্জিনটি চিলাহাটিতে ফিরে আসে।
চিলাহাটি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার হায়দার আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে মিতালি এক্সপ্রেস ঢাকায় আটকে ছিল। সকালে খালি বগিগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ে হলদিবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এ সময় ৪টি এসি বার্থ, ৪টি এসি চেয়ারকার ও ব্রেক ভ্যানসহ দুটি পাওয়ার কার ভারতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালের পর ২০২২ সালের ১ জুন হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রুটে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মিতালি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৫৭ বছর পর ফের চালু হওয়া মিতালি এক্সপ্রেসটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি বিলুপ্ত রেলওয়ের ট্রানজিট পয়েন্ট ছিল।