ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

অপরাধ করলে সাবেক আইজিপি-সেনাপ্রধানেরও শাস্তি পেতে হবে, কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ২৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অপরাধ করলে সাবেক আইজিপি হোক আর সাবেক সেনাপ্রধান শাস্তি পেতে হবে।

দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধের বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক, শাস্তি তাকে পেতেই হবে। যদি সেই অপরাধী সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধানও হন তাকেও দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখে সমর্পণ করা হবে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন। সেখানে যদি কেউ অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়, আমরা কোন প্রটেকশন দেবো? হোক সে সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধান।

এসময় বুয়েটের আবরার হত্যাকাণ্ডের উদারহরণ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগ। সরকার তাদের প্রটেকশন দেয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে প্রটেকশন কেন দেবে? আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও জুলুম চালাচ্ছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের মানসিক ট্রমা মনে হয় ভয়ংকর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।

তিনি ও তার দলের নেতারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তারা আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ। তাদের এদিকও নেই, ওদিকও নেই। বন্ধুরাও আগের মতো এসে তাদের উৎসাহিত করে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের জনভিত্তি নেই, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ ভোটকেন্দ্রে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় সন্তোষজনক।

বিএনপির আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিবিসি জানিয়েছে ভোটার উপস্থিতি ছিল পাঁচ শতাংশ, আর তখনকার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল উপস্থিতি ২১ শতাংশ। এখনকার নির্বাচনে উপস্থিতি তার দ্বিগুণ। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন বলেছে উপস্থিতি ৩৬ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ শতাংশের বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অপরাধ করলে সাবেক আইজিপি-সেনাপ্রধানেরও শাস্তি পেতে হবে, কাদের

আপডেট সময় : ০৩:১৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

 

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অপরাধ করলে সাবেক আইজিপি হোক আর সাবেক সেনাপ্রধান শাস্তি পেতে হবে।

দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধের বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক, শাস্তি তাকে পেতেই হবে। যদি সেই অপরাধী সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধানও হন তাকেও দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখে সমর্পণ করা হবে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন। সেখানে যদি কেউ অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়, আমরা কোন প্রটেকশন দেবো? হোক সে সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধান।

এসময় বুয়েটের আবরার হত্যাকাণ্ডের উদারহরণ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগ। সরকার তাদের প্রটেকশন দেয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে প্রটেকশন কেন দেবে? আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও জুলুম চালাচ্ছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের মানসিক ট্রমা মনে হয় ভয়ংকর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।

তিনি ও তার দলের নেতারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তারা আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ। তাদের এদিকও নেই, ওদিকও নেই। বন্ধুরাও আগের মতো এসে তাদের উৎসাহিত করে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের জনভিত্তি নেই, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ ভোটকেন্দ্রে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় সন্তোষজনক।

বিএনপির আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিবিসি জানিয়েছে ভোটার উপস্থিতি ছিল পাঁচ শতাংশ, আর তখনকার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল উপস্থিতি ২১ শতাংশ। এখনকার নির্বাচনে উপস্থিতি তার দ্বিগুণ। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন বলেছে উপস্থিতি ৩৬ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ শতাংশের বেশি।