ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নওগাঁর মান্দায় অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল প্রশাসন Logo পাইকগাছায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত; ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি  Logo ফেনীতে কালিদাস পাহালিয়া নদী হইতে অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের ধড়-পাকড় Logo শাহজাদপুরে গ্রামবাসীর মহাসড়ক অবরোধ রাস্তার দাবিতে Logo সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বারসহ আটক-১ Logo জয়পুরহাটে ধর্ষকদের কুশপুতুল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিক্ষোভ Logo মহাদেবপুরে নাতনি কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক Logo মোংলায় ২০০ দরিদ্র ও দুঃস্থ শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা দিলো কোস্টগার্ড  Logo শরীয়তপুরের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: কিরণ Logo দাউদকান্দিতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, খুশিতে ভরপুর কৃষকরা

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর দুই মাসের দায় পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।

সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশ এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আকুর দায় পরিশোধ করে। এর ফলে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে রিজার্ভ। গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬) ডলার।  আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, বা দুই হাজার ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।

রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে ব্যবহার যোগ্য রিজার্ভ। বর্তমান যা ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

বিগত সরকারের সময় দুবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ায়।  বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।  আকুর দায় পরিশোধের পর আবারও কমেছে।

রিজার্ভ ওঠানামা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। তবে এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক আছে, সাময়িকভাবে কমলেও আবার বাড়বে রিজার্ভ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

 

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর দুই মাসের দায় পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।

সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশ এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আকুর দায় পরিশোধ করে। এর ফলে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে রিজার্ভ। গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬) ডলার।  আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, বা দুই হাজার ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার।

রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে ব্যবহার যোগ্য রিজার্ভ। বর্তমান যা ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

বিগত সরকারের সময় দুবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ায়।  বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।  আকুর দায় পরিশোধের পর আবারও কমেছে।

রিজার্ভ ওঠানামা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। তবে এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক আছে, সাময়িকভাবে কমলেও আবার বাড়বে রিজার্ভ।