ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন পলক

- আপডেট সময় : ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে পুরো দেশ ইন্টারনেটবিহীন করে রেখেছিল বিগত সরকার। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়াসহ নানা গল্প ফেঁদেছিলেন। আদতে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজে, বিটিআরসি ও এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধে জড়িত। পলক ডেটা সেন্টারের ঘটনা প্রচার করে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় একটি তথ্য বিবরণীতে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানতে এ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ১১ আগস্ট ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ ও ১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট, গত ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার ক্ষেত্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ডেটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।