ঈদযাত্রায় ট্রেনের ২৬ মার্চের অগ্রিম টিকিট কিনতে ৯৮ লাখ হিট

- আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
ঈদযাত্রা উপলক্ষ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল রোববার যারা টিকিট কিনছেন তারা আগামী ২৬ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন। বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটেই এসব টিকিট কিনতে ৯৮ লাখ হিট পড়ে বা টিকিট কেনার চেষ্টা করা হয়।
আগামী ২৬ মার্চ ভ্রমণের জন্য ঢাকা থেকে পূর্বাঞ্চলে ৪৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। ট্রেনগুলোর মোট আসন হবে ১৩ হাজার ২৮৮টি। আর পশ্চিমাঞ্চলে ৫৭টি ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ১৩ হাজার ৩৬৩টি।
গতকাল সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ের তথ্য বলছে, পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে আগামী ২৬ মার্চ ট্রেনে যাতায়তের জন্য ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৬৫১টি। সারা বাংলাদেশে এই আসন ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৬টি। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৫৬২টি, সারাদেশের ১০ হাজার ৮৪৮টি। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রার ১১ হাজার ৩০০ এবং সারাদেশের ১৪ হাজার ৪৪৪টি, সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে যাত্রার ১২ হাজার ৪৩৬টি এবং সারাদেশের ১৬ হাজার ৩৩৪টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। রেলের অনলাই টিকিট বিক্রিতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমের সিইও সন্দীপ দেবনাথ বলেন, আজকে (রোববার) প্রথম আধা ঘণ্টায় ৯৮ লাখ হিট পড়েছে। যারা টিকিট কেনার চেষ্টা করেছেন অধিকাংশই ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের টিকিটের জন্য চেষ্টা করেছেন।
এর আগে গত রোববার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে। এছাড়া চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রার সব টিকিট অনলাইনে কিনতে হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। এছাড়া ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।