ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড Logo আমি বঞ্চিত মানুষের পাশে আছি এবং আমৃত্যু  থাকতে চাই : নীলিমা আক্তার চৌধুরী  Logo কক্সবাজার ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে গাড়ি থামিয়ে মসজিদের ইমাম অপহরণ Logo কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাসা দখলের অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার Logo সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোস্টগার্ডের আয়োজনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ বিতরণ Logo কুড়িগ্রামে নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ সহ স্বাস্থ্য কেদন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন Logo মাদারীপুরের শিবচরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার Logo সাগরে ইঞ্জিন বিকল ট্রলারসহ ২২ জেলে জীবিত উদ্ধার Logo নাটোরে মানবাধিকার চর্চায় অ্যাডভোকেসী সভা Logo গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস ইউএসএ’র নগদ অর্থ বিতরণ

ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টির সঙ্গে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এছাড়া ২৯টি প্রস্তাবের সঙ্গে আংশিক একমত ও ২২টি প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সদ্য গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলটি। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। এর আগে সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত জমা দেয় দলটি।
সারোয়ার তুষার বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠান ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১১৩টি প্রস্তাবের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হয়েছি। ২৯টি প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আংশিক একমত হয়েছি। আর ২২টি প্রস্তাবের ব্যাপারে আমরা একমত হতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হওয়ার পরও আমরা মন্তব্য করেছি। আংশিক একমত যেসব প্রস্তাবের সঙ্গে হয়েছি সেগুলো পাশে মতামত জানিয়েছি। যেগুলোর সঙ্গে একমত হয়নি, সেগুলোর পাশে কেন একমত হয়নি সেটা জানিয়েছি।
সংস্কার প্রস্তাবের ওপর জানানো মতামতের বিষয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, প্রস্তাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার কথা বলেছেন। আমাদের তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বলেছি এটা দাপ্তরিক ভাষা হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিত হবেন। আমরা এটার সঙ্গে একমত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা মন্তব্য করেছি, বিভিন্ন যে জাতিসত্তা আছে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। তবে এনসিপি সবচেয়ে বেশি দ্বিমত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে করেছে বলে জানিয়েছেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, তাদের ১২টি প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি, ১১টি প্রস্তাবের সাথে একমত হতে পারিনি, ৩টির সঙ্গে আংশিক একমত হয়েছি।
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, একটি বিষয়ে আমরা ঘোরতর বিরোধিতা করেছি। সেটা হচ্ছে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা। আমরা বলেছি, এই ধারণা বিপদজ্জনক। এটা নিয়ে আলোচনারই দরকার নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামতের পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তিনটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে এনসিপি। সারোয়ার তুষার বলেন, জুলাই চার্টার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ, সুপারিশের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে তার ওপর ভিত্তি করে জুলাই চার্টার হবে। আমরা বুঝতে পারছি ১৬৬টি সুপারিশমালার সবগুলো জুলাই চার্টারে থাকবে না। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুপারিশ জুলাই চার্টারে থাকবে না সেগুলোর ব্যাপারে কমিশন কি ভাবছে সেটা আমরা জানতে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, সরকার ১১১টি সংস্কার প্রস্তাব কোনো ধরনের সংলাপ ছাড়া বাস্তবায়নের কথা ভাবছে। এই ১১১টি মধ্যে অনেক সংস্কার আছে, যেগুলো আমাদের কাছে মনে হয়েছে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। এগুলো কি প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা হলো এটা আমরা জানতে চেয়েছি। এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি কমিশনের সুপারিশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। একটি হলো পুলিশ সংস্কার কমিশন, আরেকটি হলো স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এগুলোর ব্যাপারে আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারিনি। এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান আমরা জানতে চেয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপি

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টির সঙ্গে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এছাড়া ২৯টি প্রস্তাবের সঙ্গে আংশিক একমত ও ২২টি প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সদ্য গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলটি। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। এর আগে সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত জমা দেয় দলটি।
সারোয়ার তুষার বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠান ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১১৩টি প্রস্তাবের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হয়েছি। ২৯টি প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আংশিক একমত হয়েছি। আর ২২টি প্রস্তাবের ব্যাপারে আমরা একমত হতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হওয়ার পরও আমরা মন্তব্য করেছি। আংশিক একমত যেসব প্রস্তাবের সঙ্গে হয়েছি সেগুলো পাশে মতামত জানিয়েছি। যেগুলোর সঙ্গে একমত হয়নি, সেগুলোর পাশে কেন একমত হয়নি সেটা জানিয়েছি।
সংস্কার প্রস্তাবের ওপর জানানো মতামতের বিষয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, প্রস্তাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার কথা বলেছেন। আমাদের তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বলেছি এটা দাপ্তরিক ভাষা হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিত হবেন। আমরা এটার সঙ্গে একমত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা মন্তব্য করেছি, বিভিন্ন যে জাতিসত্তা আছে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। তবে এনসিপি সবচেয়ে বেশি দ্বিমত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে করেছে বলে জানিয়েছেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, তাদের ১২টি প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি, ১১টি প্রস্তাবের সাথে একমত হতে পারিনি, ৩টির সঙ্গে আংশিক একমত হয়েছি।
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, একটি বিষয়ে আমরা ঘোরতর বিরোধিতা করেছি। সেটা হচ্ছে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা। আমরা বলেছি, এই ধারণা বিপদজ্জনক। এটা নিয়ে আলোচনারই দরকার নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামতের পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তিনটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে এনসিপি। সারোয়ার তুষার বলেন, জুলাই চার্টার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ, সুপারিশের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে তার ওপর ভিত্তি করে জুলাই চার্টার হবে। আমরা বুঝতে পারছি ১৬৬টি সুপারিশমালার সবগুলো জুলাই চার্টারে থাকবে না। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুপারিশ জুলাই চার্টারে থাকবে না সেগুলোর ব্যাপারে কমিশন কি ভাবছে সেটা আমরা জানতে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, সরকার ১১১টি সংস্কার প্রস্তাব কোনো ধরনের সংলাপ ছাড়া বাস্তবায়নের কথা ভাবছে। এই ১১১টি মধ্যে অনেক সংস্কার আছে, যেগুলো আমাদের কাছে মনে হয়েছে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। এগুলো কি প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা হলো এটা আমরা জানতে চেয়েছি। এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি কমিশনের সুপারিশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। একটি হলো পুলিশ সংস্কার কমিশন, আরেকটি হলো স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এগুলোর ব্যাপারে আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারিনি। এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান আমরা জানতে চেয়েছি।