ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

কাল হলো মোবাইল ব্যবহার অভিমানে যুবতী মেয়ের আত্মহত্যা

বায়তুল হাসান, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় তন্দ্রা বিশ্বাস (২২) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত তন্দ্রা বিশ্বাস উপজেলার কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়া তপন বিশ্বাসের মেয়ে। গত রোববার দুপুর ২টার দিকে তপন বিশ্বাসের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তন্দ্রা বিশ্বাস তাদের ঘরের বারান্দার আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিন বছর আগে তন্দ্রা বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে বাবার বাড়ীতে বসবাস করত। তন্দ্রা বিশ্বাস মোবাইলে আসক্ত ছিল বলে জানা গেছে। মোবাইল ব্যবহারে মায়ের নিষেধরে কারনে আত্মহত্যা করেছে বলে এমনটা তারা জানান।
তন্দ্রার মা মনি বালা বলেন, আমার মেয়ে মোবাইলে আসক্ত ছিল। রোববার দুপুরে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করে আমি নদীতে গোসল করতে যাই। এসে দেখি সে ঘরের বারান্দায় আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। সেখান থেকে নামিয়ে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় আমার উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, মৃতের সুরহাতাল সম্পন্ন করে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাল হলো মোবাইল ব্যবহার অভিমানে যুবতী মেয়ের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০১:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় তন্দ্রা বিশ্বাস (২২) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত তন্দ্রা বিশ্বাস উপজেলার কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়া তপন বিশ্বাসের মেয়ে। গত রোববার দুপুর ২টার দিকে তপন বিশ্বাসের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তন্দ্রা বিশ্বাস তাদের ঘরের বারান্দার আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিন বছর আগে তন্দ্রা বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে বাবার বাড়ীতে বসবাস করত। তন্দ্রা বিশ্বাস মোবাইলে আসক্ত ছিল বলে জানা গেছে। মোবাইল ব্যবহারে মায়ের নিষেধরে কারনে আত্মহত্যা করেছে বলে এমনটা তারা জানান।
তন্দ্রার মা মনি বালা বলেন, আমার মেয়ে মোবাইলে আসক্ত ছিল। রোববার দুপুরে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করে আমি নদীতে গোসল করতে যাই। এসে দেখি সে ঘরের বারান্দায় আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। সেখান থেকে নামিয়ে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় আমার উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, মৃতের সুরহাতাল সম্পন্ন করে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।