ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী Logo ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোবিন্দগঞ্জে অপহরনকৃত মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে কুটির শিল্পের নতুন দিগন্ত খায়রুল আনাম Logo সোনাগাজীতে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, অভিযোগে করেও মামলা হয় না Logo বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান Logo নোয়াখালী জজ কোর্টের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা Logo ‘বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময়’ Logo লাশ পোড়ানো অগ্নিসংযোগ ও জখম মামলায় আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ ১৮জন গ্রেপ্তার Logo ঝিনাইগাতীর ৯ গ্রামের ভাগ্যচিত্র বদলে দিতে পারে এক ব্রীজে

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরল জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৮৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ৫ মাস ১২ দিন পর দেশে ফিরেছেন জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসা (৭)। গেল গনঅভ্যুত্থানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মুসা।
৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরে শিশুটি। সেখান থেকে সামরিক বাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। সেখানে তার পুনরায় পরিক্ষা নিরীক্ষা চেকআপ চলছে।
গত ১৯ জুলাই গনঅভ্যুত্থানে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে নাতি মুসাসহ দাদি মায়া ইসলাম (৬০) গুলিবিদ্ধ হন। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। আর মুসার মাথার একপাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। বাঁচার কথা না থাকলেও স্রষ্টার অশেষ কৃপায় বেঁচে যায় সে।
প্রথম দফায় গুলিবিদ্ধ মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত ২৬ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিতে হবে। এরপর অত্যন্ত সংকটাপন্ন মুসাকে গত ২২ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে দীর্ঘ সময় ধরে মুসার চিকিৎসা চলে। চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হওয়ায় দেশে ফিরল শিশুটি।
শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান বাসিত খান মুসা। মালিবাগে মুসার বাবা ও দাদার ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরল জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা

আপডেট সময় :

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ৫ মাস ১২ দিন পর দেশে ফিরেছেন জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসা (৭)। গেল গনঅভ্যুত্থানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মুসা।
৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরে শিশুটি। সেখান থেকে সামরিক বাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। সেখানে তার পুনরায় পরিক্ষা নিরীক্ষা চেকআপ চলছে।
গত ১৯ জুলাই গনঅভ্যুত্থানে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে নাতি মুসাসহ দাদি মায়া ইসলাম (৬০) গুলিবিদ্ধ হন। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। আর মুসার মাথার একপাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। বাঁচার কথা না থাকলেও স্রষ্টার অশেষ কৃপায় বেঁচে যায় সে।
প্রথম দফায় গুলিবিদ্ধ মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত ২৬ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিতে হবে। এরপর অত্যন্ত সংকটাপন্ন মুসাকে গত ২২ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে দীর্ঘ সময় ধরে মুসার চিকিৎসা চলে। চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হওয়ায় দেশে ফিরল শিশুটি।
শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান বাসিত খান মুসা। মালিবাগে মুসার বাবা ও দাদার ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকান রয়েছে।