ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না-খন্দকার মাশুক Logo রাণীনগরে লাল মাটির রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীদের মানববন্ধন Logo বরগুনার তালতলীর কুখ্যাত আসামি আল আমিন গ্রেফতার Logo ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে’ Logo কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo নালিতাবাড়ীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী Logo নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ে কয়েকজন কোটিপতি কর্মচারী, ইন্ধনদাতা Logo নেত্রকোণায় তামাক নিয়ন্ত্রণে অবস্থান কর্মসূচি Logo নওগাঁয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক সভা

চিরিরবন্দর মাজারে দোয়া মাহফিল ও শুকরানা বিতরন অনুষ্ঠিত

দিনাজপুর ব্যুরো প্রধান
  • আপডেট সময় : ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপেজলাতে রাজার দেওয়া সম্পত্তির মাজারে দোয়া-মাহফিল ও শুকরানা বিতরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে চিরিরবন্দর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের পশ্চিম সাঁইতিরা এলাকায় আনুমানিক ১৯১৭ সালে রাজা রামকৃষ্ণ এই এলাকায় বসবাস করতেন। সেই সময় রাজা রামকৃষ্ণ পীরের দিঘীসহ সয়সম্পত্তি খোকা ফকিরের নামে ৩১ একর ১২শতক সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে লিখে দেন।
খোকা ফকিরের মৃত্যুর পর রাজা রামকৃষ্ণ দলিলে যে নিয়ম লেখে গেছে সেটি পালন করছেন মৃত খোকা ফকিরের পরিবার। মৃত খোকা ফকিরের পরিবার জানান, ৩১ একর ১২শতক সম্পত্তিতে একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ রয়েছে। রাজা রামকৃষ্ণ দেওয়া দলিল মোতাবেক সম্পত্তি থেকে যা আয় হয় তা এলাকাবাসীর উপকার সব সময় করে থাকি। দলিল মোতাবেক সেটি আমরা এখনো অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।
এই সম্পত্তিটির দলিল আমাদের কাছে আছে। দলিলে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, পীরের দিঘির পাহাড়িতে একটি মাজারের ঘর,একটি সন্ন্যাসীর ঘর হিন্দু সম্প্রদায়ের থান রয়েছে, প্রতিবছর গ্রীষ্ম মাসের প্রথম শুক্রবার এই মাজারে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়, দোয়া ও মিলাদ শেষে শুকরানা বিতরণ করা হয়।
খোকা ফকিরের পরিবার আরো বলেন, আমাদের পিতা মাতা ও দাদার  আমলের আগে এই পাহাড়িতে রাজার একজন ভক্ত ছিলেন তিনার মৃত্যুর পর এইখানে মাটি দিলে সেদিন থেকে এই মাজারে প্রতি বছর এই দিনে মিলাদ মাহফিল হয়।
গত ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪ টার পর এলাকার গণ্যমান্য, গরীব ও অসহায় সবাইকে নিয়ে মিলাদ মাহফিল শেষে এই এলাকার হিন্দু- মুসলমান সবাইকে দেওয়া হয় শুকরানা। পাশাপাশি এখানে একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী থান রয়েছে, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের উৎসব করে থাকেন। তবে দলিলে লেখা আছে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সন্ন্যাসী পূজায় আনন্দ উৎসব বছরে একদিন করতে পারবে এই দিনে।
অন্যদিকে এই এলাকার হিন্দু-মুসলমানসহ গরিব মানুষের বিয়ে,আকিকা,সুন্নত,পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিকভাবে এই সম্পত্তির আয় থেকে সমস্যা সমাধান করা  হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিরিরবন্দর মাজারে দোয়া মাহফিল ও শুকরানা বিতরন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় :
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপেজলাতে রাজার দেওয়া সম্পত্তির মাজারে দোয়া-মাহফিল ও শুকরানা বিতরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে চিরিরবন্দর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের পশ্চিম সাঁইতিরা এলাকায় আনুমানিক ১৯১৭ সালে রাজা রামকৃষ্ণ এই এলাকায় বসবাস করতেন। সেই সময় রাজা রামকৃষ্ণ পীরের দিঘীসহ সয়সম্পত্তি খোকা ফকিরের নামে ৩১ একর ১২শতক সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে লিখে দেন।
খোকা ফকিরের মৃত্যুর পর রাজা রামকৃষ্ণ দলিলে যে নিয়ম লেখে গেছে সেটি পালন করছেন মৃত খোকা ফকিরের পরিবার। মৃত খোকা ফকিরের পরিবার জানান, ৩১ একর ১২শতক সম্পত্তিতে একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ রয়েছে। রাজা রামকৃষ্ণ দেওয়া দলিল মোতাবেক সম্পত্তি থেকে যা আয় হয় তা এলাকাবাসীর উপকার সব সময় করে থাকি। দলিল মোতাবেক সেটি আমরা এখনো অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।
এই সম্পত্তিটির দলিল আমাদের কাছে আছে। দলিলে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, পীরের দিঘির পাহাড়িতে একটি মাজারের ঘর,একটি সন্ন্যাসীর ঘর হিন্দু সম্প্রদায়ের থান রয়েছে, প্রতিবছর গ্রীষ্ম মাসের প্রথম শুক্রবার এই মাজারে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়, দোয়া ও মিলাদ শেষে শুকরানা বিতরণ করা হয়।
খোকা ফকিরের পরিবার আরো বলেন, আমাদের পিতা মাতা ও দাদার  আমলের আগে এই পাহাড়িতে রাজার একজন ভক্ত ছিলেন তিনার মৃত্যুর পর এইখানে মাটি দিলে সেদিন থেকে এই মাজারে প্রতি বছর এই দিনে মিলাদ মাহফিল হয়।
গত ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪ টার পর এলাকার গণ্যমান্য, গরীব ও অসহায় সবাইকে নিয়ে মিলাদ মাহফিল শেষে এই এলাকার হিন্দু- মুসলমান সবাইকে দেওয়া হয় শুকরানা। পাশাপাশি এখানে একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী থান রয়েছে, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের উৎসব করে থাকেন। তবে দলিলে লেখা আছে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সন্ন্যাসী পূজায় আনন্দ উৎসব বছরে একদিন করতে পারবে এই দিনে।
অন্যদিকে এই এলাকার হিন্দু-মুসলমানসহ গরিব মানুষের বিয়ে,আকিকা,সুন্নত,পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিকভাবে এই সম্পত্তির আয় থেকে সমস্যা সমাধান করা  হয়।