ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষি শ্রমিক তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমে বেশি লাভ হয়। ফলে দিনে দিনে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমলয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের ফলে জমিতে সঠিক মাপকাঠিতে চারা রোপণ হয়। এতে করে একদিকে যেমন চারা কমলাগে অপরদিকে অল্প সময়ে বেশি জমিতে চারা রোপণ করা যায়। ফলে শ্রমিকের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। এতে করে কৃষি শ্রমিকের মজুরি মূল্যও প্রয়োজন নেই।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শসহ টেকনিক্যাল সহযোগিতাও করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামারবাড়ির কুড়িগ্রামের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপ-পরিচালক (শস্য) আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা কৃষি কমকর্তা শাহরিয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফিরোজ হোসেন, ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙ্গামোড় এলাকার কৃষক লাভলু মিয়া (৬০) বলেন, বর্তমানে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক সময় ধানের চারা রোপণে বিলম্ব হয়। তাই আমি রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের সাহায্যে বোরো ধানের চারা রোপণ করছি। এভাবে অল্প সময়ে মধ্যে কম খরচে ধানের চারা রোপণ করা যায় এতে করে ধান উৎপাদনে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের চালক কৃষক ফেরদৌস হোসেন (৩০) বলেন, এই কৃষিযন্ত্রের সাহায্যে ৪৫ মিনিটে এক বিঘা পরিমাণ জমিতে চারা রোপণ করা যায়। আর প্রতি বিঘায় জ্বালানি খরচ হিসেবে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ডিজেলের প্রয়োজন হয়।

খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধানের চারা রোপণের জন্য রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। যেটি কৃষকের সময় সাশ্রয় করবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমাবে। আমরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের বীজ বপন থকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছি। যাতে কৃষকরা কম খরচে চাষাবাদে বেশি লাভবান হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষি শ্রমিক তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমে বেশি লাভ হয়। ফলে দিনে দিনে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমলয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের ফলে জমিতে সঠিক মাপকাঠিতে চারা রোপণ হয়। এতে করে একদিকে যেমন চারা কমলাগে অপরদিকে অল্প সময়ে বেশি জমিতে চারা রোপণ করা যায়। ফলে শ্রমিকের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। এতে করে কৃষি শ্রমিকের মজুরি মূল্যও প্রয়োজন নেই।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শসহ টেকনিক্যাল সহযোগিতাও করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামারবাড়ির কুড়িগ্রামের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপ-পরিচালক (শস্য) আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা কৃষি কমকর্তা শাহরিয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফিরোজ হোসেন, ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙ্গামোড় এলাকার কৃষক লাভলু মিয়া (৬০) বলেন, বর্তমানে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক সময় ধানের চারা রোপণে বিলম্ব হয়। তাই আমি রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের সাহায্যে বোরো ধানের চারা রোপণ করছি। এভাবে অল্প সময়ে মধ্যে কম খরচে ধানের চারা রোপণ করা যায় এতে করে ধান উৎপাদনে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের চালক কৃষক ফেরদৌস হোসেন (৩০) বলেন, এই কৃষিযন্ত্রের সাহায্যে ৪৫ মিনিটে এক বিঘা পরিমাণ জমিতে চারা রোপণ করা যায়। আর প্রতি বিঘায় জ্বালানি খরচ হিসেবে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ডিজেলের প্রয়োজন হয়।

খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধানের চারা রোপণের জন্য রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। যেটি কৃষকের সময় সাশ্রয় করবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমাবে। আমরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের বীজ বপন থকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছি। যাতে কৃষকরা কম খরচে চাষাবাদে বেশি লাভবান হয়।